কর্মসংস্থানহীন বঙ্গবাসী, বাধ্য হয়ে ফের ভিন রাজ্যের পথে উড়ে যাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

সারা রাজ্য জুড়ে ঘুরে বেরিয়েও মিলছেনা কর্মসংস্থান। তাই ভিনদেশের উদ্দেশ্যে চলে যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো রাস্তা। তারই প্রমাণ মিলল অন্ডাল বিমানবন্দরে। বোর্ডিং এর জন্য শ্রমিকদের প্রচুর লাইন।

আসানসোল, দুর্গাপুর, জামুড়িয়া থেকে বহু শ্রমিক প্লেনে চড়ে ভিন রাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে সাতসকালেই এসে হাজির হয়ে গিয়েছেন। সামসুল হক, রঞ্জিত যাদব, অনিল শর্মা সহ বেশকিছু জন জানিয়েছেন যে, ভিন রাজ্যে কারখানা বন্ধ থাকার কারণে রাজ্যে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু এখানে কর্মসংস্থান না মেলার কারণে আবারো ফিরে যেতে হচ্ছে গুজরাটে।

ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের জন্য নিজের রাজ্যে নিজ এলাকায় কর্মসংস্থানের সন্ধান করে দেওয়ার কথা নবান্ন থেকে আগেই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিযায়ী শ্রমিক দের মতে, এই নিয়ে বারেবারে প্রশাসনিক কক্ষে বৈঠক হলেও প্রকৃত ফলাফল শূন্যই রয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরের ছবি টা কিছুটা এই রকম।

চেন্নাই, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, দিল্লি এমনকি ত্রিপুরাতে গিয়ে যথাযথ কর্মসংস্থানের আশা উড়ানের উদ্দেশ্যে হাজির হয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। মালদহের ইংরেজ বাজার, গাজল এলাকার অধিকাংশ শ্রমিক ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা শহরে কুঞ্জবনের পোলো গ্রুপ অফ টাওয়ারের একটি নির্মীয়মান বহুতলের নির্মাণের কাজে অংশ নিতে চলেছেন শ্রমিকরা।

ক’রো’না আবহে সরকারি সাহায্যে ঘরে ফেরার পর ১০০ দিনের কাজ সহ বেশকিছু কর্মসংস্থানের সাময়িকভাবে সুযোগ ঘটে ছিল ঠিকই। তবে বরাবরের জন্য কোন কাজের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেননি শ্রমিকরা। আশার আলো না দেখে ফিরে যেতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে।

লকডাউন পর্বে পরিযায়ী শ্রমিক দের ঘরে ফেরার ব্যাপক উত্তেজনা চোখে পড়েছিল। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে করে বাড়ি ফিরেছিলেন শ্রমিকরা। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন কে “ক’রো’না এক্সপ্রেস” বলায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশ করেছিলেন। এই নিয়ে দ্ব’ন্দ্ব কম হয়নি।

অনেকের মতে,ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্থাপিত পিএম কেয়ার স্থান থেকে পর্যায়ে শ্রমিকদের ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়। ভিন রাজ্যের উদ্দেশ্যে পর্যায়ে শ্রমিকদের ফিরে যাওয়া নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র বলেন,”অন্যান্য রাজ্যগুলি চেষ্টা করছে তাঁদের শ্রমিকরা যাতে সেখানেই কাজের সুযোগ পান। কিন্তু এই ম’হামা’রীর সময়েও বাংলায় কাটমানি, তো’লা’বাজি চলছে অবাধে। যার ফলে কাজের সুযোগ তৈরি হওয়া শিকেয় উঠেছে।”