কলকাতার আকাশ বুধবারের পরে শনিবারেও আংশিক মেঘলা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় অল্পবিস্তর বৃষ্টি হয়েছে।




আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বেলা বাড়তেই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অনুভব করতে পেরেছেন রাজ্যবাসী।




আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এও জানা গেছে যে, কলকাতা ছাড়াও বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। হাওড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম,




মেদিনীপুর, হাওড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলার বেশ কিছু অঞ্চলে, হালকা কিংবা ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে।




কোথাও কোথাও আবার বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর।




দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বর্ধমান, বীরভূম জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।




আবহবিদদের মতে, ঝাড়খণ্ডের উপর ঘূর্ণবাত রয়েছে। একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ইতিমধ্যেই রয়েছে উত্তর-পশ্চিমের পার্বত্য অঞ্চলে।




অপর একটি আঘাত হানতে চলেছে ১৩ মার্চ। অর্থাৎ পরপর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করতে চলেছে জম্মু কাশ্মীরে।




যার প্রভাবে বৃষ্টির পাশাপাশি তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট-বালতিস্তান, মুজফফরাবাদ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে।




পঞ্জাব, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশে বিচ্ছিন্ন বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। পুবালী হওয়ায় সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করেছে।
পশ্চিমী শীতল হাওয়া ও পুবালি গরম হাওয়ার সংঘাতের কারণেই রাজ্যে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৫ ডিগ্রি।


গতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৬ ডিগ্রি। জানা গেছে, হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে আগামী ৪-৫ দিন দিন ও রাতের তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তন হবে না।