“জাতীয় শিক্ষানীতি মানি না, আমরা চিঠি লিখছি কেন্দ্রকে”,বললেন মুখ্যমন্ত্রী

নবান্নে আয়োজিত কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপনের অনুষ্ঠানেও কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তো’প দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হওয়ার পর থেকেই প্রথম থেকেই বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।

কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আলোচনার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যে,এখনই পশ্চিমবঙ্গের নতুন শিক্ষানীতি লাগু হবে না। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন যে তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি মানেন না।

সোমবার নবান্নে আয়োজিত রাজ্যের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন,”নিউ এডুকেশন পলিসিতে নাকি মেধা তালিকা থাকবে না।

সব যদি তুলে দেওয়া হয়, মেধা তালিকা যদি না থাকে তাহলে তো গৌরব, গরিমাও থাকবে না।” তিনি আরও বলেন,”কেন্দ্রীয় সরকার ছাত্র ছাত্রীদের গৌরব করার জায়গাটাই বন্ধ করে দিতে চাইছে। আমরা এই শিক্ষানীতি মানি না। আমরা কেন্দ্রকে চিঠি লিখছি।”

এদিনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও মাদ্রাসা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব মিলিয়ে মোট ৭৮৫ জন কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন।

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সরকারি আধিকারিকরা এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হবে বলেও ঘোষণা করেন। তাদের মধ্যে একটি নাম ” বাবাসাহেব আম্বেদকর” এবং “জয়হিন্দ বিশ্ববিদ্যালয়”।

ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধা আসে তাদেরকে রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে সাহায্য করবে। এমন যদি ছাত্র-ছাত্রী থাকে তাদেরকে একত্রিত করে শিক্ষা সচিবের কাছে আবেদনপত্র পাঠানোর নির্দেশ দেন জেলাশাসকদের।

কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার প্রভূত প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,”কেউ কেউ বাংলার বদনাম করতে চাইছে। রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। তাদের আমি সমর্থন করি না।”