







অর্থের অভাবের কারণে বেশি পড়াশোনা করা হয়ে ওঠেনি। সংসার চালানোর জন্য প্রত্যেকদিন সাইকেলে করে কাপড় বিক্রি করতে যেতেন এক বাবা। অভাবের সংসার তার।




সংসারের অভাব অনটন আর প্রবল অর্থকষ্ট কারণে যাতে ছেলের পড়াশোনা বন্ধ না হয়ে যায় সেই দিকে সব সময় লক্ষ্য রাখতেন তিনি। বিহারের কিষাণগঞ্জের বাসিন্দা বিনোদ বসাক। তাঁরই ছেলে চলতি বছরে ইউপিএসসি-তে ৪৫তম স্থান দখল করেছে।




ছেলের এই সাফল্যে বিহারের কিষানগঞ্জের বাসিন্দা বিনোদ বসাকের বাড়িতে এখন খুশির হাওয়া। বিনোদের মুখ উজ্জ্বল করলেন তার একমাত্র ছেলে।




ছেলের এই সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে মিষ্টি বিতরণ করেছেন বাবা। আইআইটি দিল্লি থেকে পাশ করার পর তিন বারের চেষ্টায় ইউপিএসসিতে সাফল্য অর্জন করেছেন ছেলে অনিল বসাক।




উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের পদ অর্জন করা আর শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত বাবা বিনোদ বসাক জানিয়েছেন, “‘ছেলে আগে আইআইটি পাশ করেছিল। ভীষণ খুশি হয়েছিলাম আমরা।




ভেবেছিলাম, ও হয়তো এ বার কাজে লেগে যাবে। কিন্তু ও ইউপিএসসি-র প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করল। ওর শিক্ষকেরাও অনেক সাহায্য করেছেন। অনেকের থেকে আর্থিক সহায়তাও পেয়েছি।”




ছেলের এই সাফল্য পেয়ে নিজের সাফল্য বলছেন বিনোদ বসাক। তাঁর কথায়, “সংসার টানতে সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমি পড়াশোনা শিখিনি। কিন্তু এটুকু বুঝতে পারছি, এটাই স্বপ্ন”।
অনিলের কাকা জানান, “ভীষণ ভাল লাগছে। গত বছর তালিকায় ৬১৬ নম্বরে ছিল ও। বলেছিল, আবার পরীক্ষা দেব। সেখান থেকে এ বার ৪৫ নম্বরে। ভাবা যায় না!”