অভাবের টানে দিনমজুরের কাজ করে মেয়েকে পড়িয়েছেন, আজ IAS অফিসার হয়ে বাবার স্বপ্ন করল মেয়ে

ইউপিএসসি ক্র্যাক করা অনেকের জন্য আজীবন স্বপ্ন। কিন্তু খুব কম মানুষ নিজেদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারেন। ইউপিএসসি পরীক্ষার সফলতা অর্জনের জন্য

প্রয়োজন একাগ্রতা এবং দৃঢ়চেতা মনোভাব। একাগ্রতা এবং এই দৃঢ়চেতা মনোভাবের ফলশ্রুতিতে ইউপিএসসি ক্র্যাক করলেন কেরালার এক কন্যা।

কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের অবস্তি এস, একজন নির্মাণ শ্রমিকের কন্যা। সরকারি কর্মচারী হওয়ার আজীবন স্বপ্ন তার। ইউ পি এস সি পরীক্ষায় ৪৮১তম স্থান অর্জন করেছেন কেরালার অবস্তি এস।

সিভিল সার্ভিসে চাকরি করার জন্য ১৫ বছর ধরে স্বপ্ন দেখতেন কেরালা তিরুবনন্তপুরম এই বাসিন্দা অবস্তি এস। তার আইএএস অফিসার হওয়ার।

সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষার বসেছিলেন তিনি। পেশায় রাজমিস্ত্রি তার বাবা। কোনরকমে সংসার চলে যায়। কিন্তু মেয়ের স্বপ্ন ছিল আরও বড় কিছু করার।

স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে কেরালার তিরুবনন্তপুরমের এই কন্যার। চারবারের চেষ্টায় পাস করেছেন পরীক্ষাতে। আগে তিনবার পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি।

অবস্থি এস জানান, “গত তিনবার আমি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিতে পারিনি এবং আমি একটু উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমি এখন খুশি।

এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে, আমি লেখার অনুশীলন এবং সর্বাধিক বিষয়বস্তু উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করেছি, যাতে আমি আমার পরীক্ষা ভালো ভাবে দিতে পারি”।

তারা বাবা বলেন, “আমি খুব খুশি। কঠিন পরিস্থিতিতে সে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। আমি তার জন্য গর্বিত। সে তার পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল”।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করলেন বিহারের বাসিন্দা শুভম কুমার।

আইআইটি বম্বে থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বি টেক পাশ শুভম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভোপালের জাগৃতি অবস্থি। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অঙ্কিতা জৈন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টারের দুই ছাত্র-ছাত্রী প্রথম ২০০ জনের মধ্যে ৮৭ স্থানে রয়েছেন শিলিগুড়ির রিকি আগরওয়াল এবং ১৫৯ স্থানে ময়ূরী মুখোপাধ‌্যায়।