







বর্তমানে পৃথিবীর খবর জানার জন্য একমাত্র মাধ্যম হলো সোশ্যাল মিডিয়া। পৃথিবীর নানা অদ্ভুত আ-‘শ্চর্য ঘটনাবলী আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পারি ও জানতে পারি। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে অনেক মানুষ তার সুপ্ত প্রতিভা কে বিশ্বের সামনে আনার সুযোগ পান। আমাদের দেশের কোন কোন




এমন অনেক প্রতিভা আছে যারা উপযুক্ত সুযোগের অভাবে সুপ্তই থেকে যান, কিন্তু আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া সেই অসুবিধা দূর করেছে। প্রকৃতির সমস্ত জীব এক অদৃশ্য নিয়মে আবদ্ধ। সূর্য থেকে উদ্ভিদ তার নিজের দেহে খাদ্য তৈরি করে। উদ্ভিদকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে তৃণভোজী প্রাণী,




আবার তাদের খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করেন মাংসাশী প্রাণী। এইভাবেই চলেছে খাদ্য শৃঙ্খল। এই প্রকৃতির নতুন নতুন ঘটনায় অবাক হই আমরা বারবার। এইসব ঘটনার নানারকম ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের প্রতিদিন অবাক করে। কদিন আগেই ভাইরাল হয়েছিল একটি মা-‘ক-‘ড়সা




একটি পাখি কে যেন গিলে খাচ্ছে। প্রকৃতির এরকমই নানা রকম অদ্ভুত খেয়ালিপনা দেখে বারবার আশ্চর্য হই আমরা। আসলে ইহাই প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য। প্রকৃতি বারবার নিজের রুপে নিজগুণে বারবার নানা রকম ভাবে ধরা দেয় আমাদের কাছে। প্রকৃতির নিয়ম লঙ্ঘন করলে শাস্তি পেতে হয় আমাদের, যার বর্তমান ফল এখন দূষণ।




সাপ সবসময়ই এক রহস্যময় জাতি। পুরাকালে অনেক উপকথাতেই সাপের বিভিন্ন অলৌকিক ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া গেছে। বলা হয় সাপ সম্মোহন ক্ষমতার সাহায্যে জীবজন্তুকে বশ করে শিকার ধরে। এমনকি হিন্দু ধর্মে সাপকে দেবী মা মনসার বাহন হিসেবে পূজা করা হয়।




এমনকি মহাদেবের গলাতেও দেখা যায় বাসুকিনাগ কে। হি-‘ন্দু ধ-‘র্মের স্বয়ং বিষ্ণু শায়িত রয়েছেন শেষ নাগের কোলে, সুতরাং সাপকে যে পুরাকালে অনেক বড় আসনে বসানো হয়েছিল সেই সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু বর্তমানে সাপকে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী




হিসেবে না মানা হলেও তার বিষকে ভয় করেন সবাই। কিন্তু পৃথিবীতে বিষধর ও বিষহীন, দুই ধরনের সাপই রয়েছে। সাপ এমনিতেই নিরীহ প্রাণী, দৃষ্টি শক্তি দুর্বল। সাপের অনুভূতি ক্ষমতা প্রবল হওয়ায় সে একমাত্র তার মাধ্যমে নিজের রক্ষা করে এবং শিকার ধরে। এহেন অবস্থায় সাপ একমাত্র ভয় পেলে




বা আত্মরক্ষার জন্যই কাউকে ছোবল মারতে থাকে। কিন্তু মানুষ না বুঝেই বহু সাপকে মেরে ফেলেন। এজন্যই বর্তমানে তৈরি হয়েছে বহু রেস্কিউ টিম, সর্প রক্ষকরা এগিয়ে এসেছেন সাপকে বাঁচানোর কাজে। কিন্তু বর্তমানে ওড়িশার কেওনঝড়ের দেখা গেছে এমন একটি অদ্ভুত সাপ, যার রয়েছে দুটি মাথা।




শুনতে আশ্চর্য লাগলেও ঘটনাটি সত্যি। বেটার ইন্ডিয়া নামের ফেসবুক পেজ থেকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিশেষ প্রজাতির উলফ সাপের মাথার মাঝখান থেকে যেন দুটি ভাগ হয়ে গেছে, কিন্তু আসলে সেটি দুটি পৃথক পৃথক মস্তক।




বৈজ্ঞানিকরা বলছেন, দুটি মাথায় পৃথক পৃথক স্নায়তন্ত্র দ্বারা গঠিত এবং দুজনেই আলাদা উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। আশ্চর্য এই ভিডিওটি দেখে অবাক হয়ে গেছে দর্শক। বিশেষ করে অনেকেই একে অলৌকিক ঘটনা বলে মেনে নিয়েছে।




কিন্তু বৈজ্ঞানিকদের মতে এটি একটি জেনে-‘টি-‘ক্যাল ডিফে-‘ক্ট, সম্ভবত গ-‘র্ভ-‘বতী অবস্থায় মা সাপের কোন সমস্যা হওয়ায় এই রকম অদ্ভুত গঠন সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওটি দেখে অবাক হয়ে গেছেন দর্শক। হাজার হাজার মানুষ ভিডিওটি করে দিয়েছেন ভাইরাল। সাপটিকে নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই।








এছাড়াও এই রকম গঠন কুসংস্কারের ঝড় তুলে দিয়েছে। অনেকেই বলছেন এইসব ঘটনা প্রকৃতির জন্য অ-‘শুভ, প্রকৃতির বিপক্ষে গেলে তার ফল অবশ্যই খারাপ হবে। আবার অনেকেই বিজ্ঞানের সত্যতাকে যাচাই করে বিজ্ঞানকেই মেনে নিয়েছেন। তবে সাপটিকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই কারুর,
এই মুহূর্তে সাপটিকে নিয়ে বৈজ্ঞানিকরা গবেষণাগারে গ-‘বেষণায় ব্যস্ত। প্রকৃতির নিয়ম মেনে জীবজগতের চলা উচিত। কিন্তু বর্তমানে প্রকৃতির নানা অদ্ভুত ঘটনা চিন্তিত সবাই। বিশেষ করে যে খাদ্য শৃংখল তার সমতা বর্তমানে ঠিক নেই, এই কারণেই প্রকৃতিতে এরকম অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।
তাহলে কি শেষ পর্যন্ত আমাদের পৃথিবী ধ্বং-‘সের মুখে? সম্প্রতি ক-‘রো-‘নার তা-‘ণ্ডবে সারাবিশ্বে মহা-‘মা-‘রীতে প্রা-ণ-হা-নি হয় অনেক মানুষের, তাহলে কি মানুষ নিজের কর্মকাণ্ডের জন্যই আজ ধ্বং-‘-‘সের পথে? এখনই সবার উচিত প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলা, বৃক্ষরোপণ করা, প্রকৃতির যত্ন করা। ইতিমধ্যে সাবধানতা অবলম্বন না করলে তা বড় ধ্বং-‘-‘সের দিকে এগোতে পারে।