মাস গেলে বেতন ৫০ হাজার টাকা! এদিকে সাধারণ বানান লিখতে অক্ষম সরকারি শিক্ষিকা, তুমুল ভাইরাল ভিডিও

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শিক্ষা শিক্ষার মান উন্নত হোক বা না হোক প্রথাগত শিক্ষা সব সময় জরুরি। ছোট থেকেই একজন মা বাবা চেষ্টা করেন,

তার সন্তানকে প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে। এরপর বিদ্যালয় পাঠানো হয় পড়াশোনার জন্য। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে,

থেকে পড়াশোনা করে শিশুরা। এইভাবে পড়াশোনা করতে করতে একসময় বড় হয়। আজকাল অনেকেই ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানোর জন্য,

বাংলা মিডিয়ামের থেকে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল কলেজে ভর্তি করতেই বেশি অভ্যস্ত। আবার অনেকেই সরকারি স্কুলের উপরেই নির্ভর করে থাকেন। সরকারি স্কুলে একটা সময় পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষাদান করা হয়।ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহচর্যে প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষিত হয়ে ওঠে ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু যিনি শিক্ষা দেবেন সেই শিক্ষক বা শিক্ষিকা যদি নিজেই অশিক্ষিত হন? তাহলে তো প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, স্কুলে গিয়ে কি শিখছে আপনার ছেলে বা মেয়ে? বিহার রাজ্যের একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিষয় হলেও বিন্দুমাত্র শিক্ষিত নন তিনি। আদৌ কি তিনি গ্রাজুয়েট? উঠছে প্রশ্ন। সম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা দেখে চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যেতে বাধ্য যে কোন মানুষের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, এক মহিলা শিক্ষিকা স্কুলের মধ্যে ক্লাস রুমের বাইরে খাতা পেন নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। জনৈক ব্যক্তির হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে ওই শিক্ষিকাকে সপ্তাহের সাতটি বারের নাম আর বানান জিজ্ঞাসা করছেন। সেই বানান বলতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ওই মহিলা শিক্ষিকা।
রেজির একটি লাইনও পড়তে না পারেন তাহলে তিনি ছাত্রছাত্রীদের কী করে পড়াবেন, উঠছে প্রশ্ন। সাজ-পোশাকের দিক থেকে কোনরকম কমতি নেই। মাস গেলে সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু নিজেই শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও কিছুই শেখেননি এই শিক্ষিকা। পরিবর্তে দাঁড়িয়ে থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের নষ্ট করছেন তিনি। বিহার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার এই হালে নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উচ্চশিক্ষা এবং যোগ্যতা থাকলেও তারা যে আদৌ কিছু কখনো শেখেনি, অথচ চাকরি করছেন। এমন ঘটনা বিহার এবং উত্তর প্রদেশ রাজ্যে প্রায়ই ঘটে। শুধু তাই নয় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে বললে তিনি লালু প্রসাদ যাদবের নাম করেন। একটি রাজ্যে কজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারে, সে কথার উত্তর জানেন না প্রধান শিক্ষিকা। এমনকি ইংরেজিতে নাম লিখতে পারেন না এই সরকারি স্কুলের শিক্ষিকারা। “ইন্ডিয়া টিভি” নামক একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেল থেকে সাম্প্রতিক পোস্ট করা হয়েছে এই ভিডিও। যা দেখে চক্ষুচড়কগাছ হয়ে গিয়েছে আমজনতার। বিহার রাজ্যের শেষ পর্যন্ত শিক্ষার অবস্থা এইরকম? কিভাবে সম্ভব? কিভাবে চাকরি পেলেন ওই শিক্ষিকারা? তাদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সত্যিই কি সুনিশ্চিত হবে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ? এভাবেই একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন জনগণ। ইতিমধ্যেই সাড়ে আট লাখেরও বেশি দর্শক ভিডিওটি দেখে নিয়েছে। কমেন্ট সেকশনে অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শিক্ষিকাদের প্রতি।