মাস গেলে বেতন ৫৫ হাজার! এদিকে মাধ্যমিকে কতগুলো বিষয় বলতে অক্ষম স্কুল শিক্ষিকা, তুমুল ভাইরাল ভিডিও

বিহারে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষকদের হরতাল করার পর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাই স্কুলের পরীক্ষার মূল্যায়ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়

উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের। অর্থাৎ তারা পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে

অথচ তাদের মাধ্যমিকের মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার খাতা দেখতে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা তারা

সঠিকভাবে দেখতে সক্ষম কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আদৌও তারা কি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবেন! একটি সমীক্ষা করা হয়

এবং সেই সমীক্ষায় যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা পরীক্ষার পত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের কিছু কিছু সাধারন প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু শুনলে অবাক হবেন যে এই অতি সাধারণ প্রশ্নের উত্তর গুলি তারা দিতে পারেননি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, যারা এত সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না তারা কিভাবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা দেখবেন! একজন শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করা হয় যে নতুন পাঠক্রম হওয়ার কারণে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা দেখতে অসুবিধা হচ্ছে কিনা। কিন্তু তার উত্তরে তিনি বলেন যে,” না এই সমস্ত পাঠক্রম আমাদের আগে থেকে পড়া ছিল, তাই কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।

“তিনি সোশ্যাল সাইন্স এর খাতা দেখার দায়িত্ব পেয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে কতগুলি মৌলিক অধিকার আছে এবং কি কি? এর উত্তর তিনি সঠিকভাবে দিতে পারেননি। উপরন্তু নিজের মতন বানিয়ে যা খুশি উত্তর দিয়েছেন। তারপর তিনি স্বীকার করেন যে এই প্রশ্নের উত্তর তার জানা নেই।

এ পাশাপাশি তাকে আরো কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় যেমন সমাজ শাসন বলতে কি বোঝানো হয়? আরাস্তু কে ছিলেন? মেট্রিকে কতগুলো পূর্ণাঙ্ক হয়? কিন্তু এই প্রশ্ন গুলোর সঠিক জবাব দিতে পারেননি। অপর একজন শিক্ষিকা কে জিজ্ঞাসা করা হয় যে প্রকার সংশ্লেষ বলতে কী বোঝানো হয়? ফারমেন্টেশন কি?

চিনির সংকেত কি? গ্লুকোজের সংকেত কি? নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র কি? আলুর বোটানিক্যাল নাম কি? এই প্রশ্নের উত্তর গুলি তিনি কোনটাই দিতে পারেননি কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিষয়ক উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছে।

তাহলে বুঝতেই পারছেন যে এমন সাধারণ প্রশ্নের উত্তরগুলো তাদের জানা নেই অথচ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এমন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপরে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজের বিষয় সংক্রান্ত জ্ঞান অসম্পূর্ণ। সেখানে তারা অন্যদের কি জ্ঞান দান করবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।