“অর্থ এবং নারী চক্র থেকে দলকে টেনে বের করা দরকার”, বিস্ফোরক টুইট তথাগতর

আবারো বিতর্কিত মন্তব্য করে টুইট করলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। দলীয় সংস্কার নিয়ে একের পর এক টুইট বার্তা প্রেরণ করে সুর চড়িয়েছেন তথাগত রায়। গেরুয়া শিবিরের বর্ষীয়ান এই নেতারা দাবি, “দলকে অর্থ এবং নারী চক্র থেকে টেনে বের করে আনা আবশ্যক।” তাঁর টুইট ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক তরজা।

সোমবার ধারাবাহিকভাবে টুইট করেন তথাগত রায়। একের পর এক বিজেপি নেতার দলবদল প্রসঙ্গে স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা টুইটারে লেখেন, “৩ থেকে ৭৭ (এখন ৭০) গোছের আবোল তাবোল বুলিতে পার্টি পিছোবে, এগোবে না”।

তথাগত রায় মনে করেন, দলকে অর্থ এবং নারীর চক্র থেকে দলকে টেনে বার করা অত্যাবশ্যক। দলের নবনিযুক্ত সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে দল আবার এগোতে পারে বলেই মন্তব্য করেন তথাগত রায়।

ইতিপূর্বে রবিবার টুইট করেছিলেন তথাগত রায়। স্বেচ্ছায় তিনি যে বিজেপি ছাড়ছেন না তা স্পষ্ট করেছিলেন তিনি। টুইট করে তিনি উল্লেখ করেন, দল ছাড়তে পারলে অনেকের অনেক গোপন কীর্তিই তিনি ফাঁস করে দেবেন।

দিলীপ ঘোষের অনেক আগে থেকেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত তথাগত রায়। মেঘালয়ের বিদায়ী রাজ্যপাল ২০০২-০৬ পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি ছিলেন। তারপর প্রায় ৯ বছর বিজেপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।

দলের প্রতি আনুগত্যের কারণে মেঘালয় রাজ্যের রাজ্যপাল পদে ছিলেন তিনি। রাজ্যপাল পদে মেয়াদ শেষ হতেই সক্রিয় রাজনীতিতে তথাগত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকে রাজ্য নেতাদের নিয়ে নানান ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন তিনি।

কখনো কৈলাস বিজয়বর্গীয় তো কখনো আবার দিলীপ ঘোষকে নিশানা করেন। তাঁর আক্রমণ এতটাই তীব্র যে সেটা সামাল দিতে হিমশিম দলের রাজ্য নেতারা।