একের পর এক নিম্নচাপের সৃষ্টি হচ্ছে সমুদ্রে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন,বর্তমানে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর অবস্থানরত একটি ঘূর্ণিঝড় ১৭ অক্টোবর নিম্নচাপ আকারে বঙ্গোপসাগরের ওপর প্রবেশ করবে।শক্তি আরও বাড়িয়েছে ঘূ’র্ণিঝড় গতি।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন সে রকম প্রভাব পড়বে না বাংলায়।চিন্তা কম থাকলেও ঝড়ের ভ্রুকুটিতে আতঙ্ক বেড়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গনা, ওডিশা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র – এই পাঁচ রাজ্যের। নবসৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পুজোর মুখে হতে পারে বাংলাতেও বৃষ্টি এমনটাই আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
পুজোয় বৃষ্টি নিয়ে আশঙ্কার মেঘ ক্রমশ গভীর হচ্ছে। তার মধ্যে পুজোয় এবার সা’ইক্লোর এসে উপস্থিত হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের একাংশ তেমনটাই দাবি করছেন আশঙ্কা সত্যি হলে ষষ্ঠী বা সপ্তমীতে হানা দিতে পারে ঘূর্ণিঝড়।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর অবস্থানরত একটি ঘূর্ণিঝড় ১৭ অক্টোবর নিম্নচাপ আকারে বঙ্গোপসাগরের ওপর প্রবেশ করবে। তার পর ফের শক্তি সঞ্চয় শুরু করবে ঝড়টি।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন প্রাথমিক ভাবে বঙ্গোপসাগরের ওপর বায়ুপ্রবাহের দিক নিরুপণ করে অনুমান, ঝড়টি অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানতে পারে। তবে তা ঘূর্ণিঝড়ের মর্যাদা পাবে কি না তা এখনো অজানা।
তবে ঝড়টি ঘূর্ণিঝড় হয়ে ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি চলে এলে পশ্চিমবঙ্গে তার প্রভাব কিছুটা হলেও পড়তে পারে। একটানা বৃষ্টি না হলেও সেক্ষেত্রে আর্দ্রতার আধিক্যের জন্য বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ওদিকে আবহবিদরা জানাচ্ছেন, পুজোর আগে মৌসুমি বায়ু ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে। যার ফলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছেই।