লকডাউনের জেরে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছেন এমন মানুষদের সংখ্যা এ দেশে প্রচুর। আর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আমরা ঘরে বসে সেই সমস্ত খবর এক নিমেষে পেয়ে যাচ্ছি। যেমন কয়েক মাস আগেই দিল্লির “বাবা কা ধাবা”নামক চটজলদি খাবারের দোকান চালানো এক বৃদ্ধ দম্পতির করুন কাহিনী সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়েছিল।
তারপর অবশ্য প্রচারের মাধ্যমে তাদের জীবন বদলে যায়। বেঙ্গালুরুর কনকপুরা রোডের ফুটপাতে ৭৯ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ঔষধি গাছের চারা বিক্রি করছিলেন। সাধারণ মানুষ তার পাশেও দাঁড়িয়েছে। এবার সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল সুভান নামক একটি ছোট্ট ছেলের কাহিনী।
১৪ বছর বয়সি সুভান মুম্বইয়ের ভেন্ডি বাজার এলাকায় চা বিক্রি করে। স্থায়ী দোকান বলতে কিছু নেই। রাস্তার ধারে চা তৈরি করে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে সে। বর্তমানে,রোজ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হয় তার। এইভাবে অর্থ রোজগার করে মা বোনে দের দায়িত্ব নিতে হয়েছে ১৪ বছর বয়সি সুভানকে। তবে তার এই চা বিক্রেতার পেশায় আসার কারণ অত্যন্ত দুঃখজনক।
জানা গিয়েছে,১২ বছর আগে তার বাবা মারা যায়। সুভানের মা স্কুল বাসে কাজ নেন। ছেলেমেয়েদেরও কষ্ট বুঝতে দেননি তিনি। যেটুকু রোজকার হতো তাতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে কোনরকমে দিন চলে যেত।
কিন্তু বর্তমানে করোনা আবহে স্কুল-কলেজ বন্ধ,বিগত আট মাসের বেশি সময় ধরে। তাই রোজকার বন্ধ হয়ে গিয়েছে তার মায়ের। লকডাউনের মধ্যে তীব্র আর্থিক সংকটে পড়তে হয় সুভানের পরিবারকে।
মায়ের এমন অর্থকষ্ট দেখে সহ্য করতে পারেনি ছোট্ট ছেলে সুভান। সিদ্ধান্ত নেয় তাকেও রোজগার করতে হবে। এরপর সুভান ঠিক করল যে সে চা বিক্রি করবে। বর্তমানে সে চা বিক্রি করছে। যেটুকু রোজকার হয় কিছুটা বাঁচিয়ে রেখে বাকিটা মায়ের হাতে তুলে দেয় সুভান।
Mumbai: A 14-year-old boy, Subhan sells tea to support his family after his mother's earnings stopped, amid #COVID19 pandemic. She worked as a school bus attendant. He says, "My father died 12 years ago. My sisters study via online classes, I'll resume mine after schools reopen." pic.twitter.com/bwgVMCTkYI
— ANI (@ANI) October 29, 2020
বোনেদের অনলাইন ক্লাস যাতে বন্ধ না হয় সেদিকেও নজর রেখেছে সে। নিজের পড়াশোনা আপাতত বন্ধ। যখন স্কুল খুলবে আবারো নিজের পড়াশোনা শুরু করার ইচ্ছা রয়েছে সুভানের। লেখাপড়া করার বয়সে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়েছে এই ছোট্ট ছেলেটির