ধান্দাবাজির জন্য নাকি জেলে যাওয়ার ভয়ে দল ছাড়লো শুভেন্দু তা ভবিষ্যতই বলবে, মন্তব্য ফিরহাদের

শুভেন্দু দল ছেড়ে অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে জয়েন করার পর বুধবার শুভেন্দুর গড়ে গিয়ে সভা করলেন ফিরহাদ হাকিম ও সৌগত রায়। এদিন দুই নেতাই কাথিঁতে শুভেন্দু কে তীব্র ভাষায় আ’ক্র’মণ করেন।

তবে বক্তব্যে ঝাঁঝ বেশি ছিল ফিরহাদের। তিনি রীতিমত নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শুভেন্দুর অবদান নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন ।

ফিরহাদ এদিন তাদের সভায় হাটে হাঁড়ি ভাঙার মত বলতে এসেছিলেন যে নন্দীগ্রামের আন্দোলন সুফিয়ানরা শুরু করেছিলেন , কিন্তু নেতা বনে যান শুভেন্দু। কয়েক দিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের পরিবারতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন করলে বিজেপিতে পরিবারতন্ত্রের বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে মমতার বিরুদ্ধে আনা শুভেন্দুুর অভিযোগকে ভোঁতা করার চেষ্টা করলেন ববি।

ববি বার বার মনে করিয়ে দেন রে শুভেন্দু নিজে ও তার পরিবারবাদেরই সুফল পেয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেন যে, শিশির অধিকারী না থাকলে শুভেন্দু অধিকারী কখনও টিকিট পেতেন না।

তৃণমূলের মিটিং এ এদিন ভালো মতই বড় হয় এবনগ প্রচুর লোক আসেন। এই ভিড় দেখে ভালো ভিড় দেখে ফিরহাদের আশা যে পূর্ব মেদিনীপুরে ক্লিন সুইপ করার জন্য তার বাবা একবার নষ্ট করলো তাহলে হবে নাম করবে তৃণমূল আগামী নির্বাচনে।

দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করা ভীষন প্রয়োজন তাই ফিরহাদ দাবি করেন যে শুভেন্দু অধিকারীর প্রস্থানে সবাই খুব খুশি, বলছে বেঁচে গেছি। কোলাঘাট দিয়ে ঢোকা বা বেরোনোর সময় বেশ কিছুখন লাগবে।

ফিরহাদ এদিন শুভেন্দু ধান্দাবাজির জন্য দল ছাড়লেন না জেলে ঢোকার ভয়, সেটা ভবিষ্যতেই বলবে কতটা সাকসেসফুল. কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে (পুর প্রধান) বলেন যে শুভেন্দু যখন অমিত শাহের পা ধরল, তখন আমার ভীষন মনে হচ্ছিল এই দিনটা দেখার চেয়ে মৃ*ত্যু হওয়া অনেক ভালো ছিল। মঞ্চে বাপ্পা দা সর্বদাইকে শান্ত কেটে আছে?

নন্দীগ্রামে তিনি পড়েছি, তারপর যিনি কৃষক আন্দোলনে ভালো ফল করেছিলেন? নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শুভেন্দুর অবদানকে লঘু করা ও নয়া কৃষি আইন নিয়ে তাঁর চাষীবন্ধু ধাক্কা খাওয়ানোর ছিল অন্য গুলোর। বিজেপি এই জোড়া নীতি নিয়েই দেখছি, এদিনের সভায় সেটা সাফ হয়ে গেল।