টিকিট বাবদ ৫কোটি টাকা উধাও! বিপাকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি

‘‌স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ র টিকিট নিয়ে গন্ডগোলের সুর সবচেয়ে উঁচু ‌স্ট্যাচু যা ভারতের শোভা বাড়িয়ে ছে বহু গুণ। তা হলো গুজরাটে (‌Gujrat) অবস্থিত সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Sardar Vallabhbhai Patel) মূর্তিটি।

তার সংগ্রাম সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত আছি । তার এই অসাধারন মুর্তি আমাদের গর্ব অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। চিন এর মুর্তি ও তুলনায় এই মূর্তি আরও সুউচ্চ । যা ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

২০১৮ সালের অক্টোবরে গুজরাটের নর্মদা জেলার কেভাদিয়ায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের এই ১৮২ মিটারের মূর্তিটি স্থাপন করা হয়। নাম দেওয়া হয় ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’। এটির উন্মোচন করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।

গত দেড় বছরে বহু পর্যটকের সমাগমও হয়েছে এখানে। ‌শুধু মূর্তি নয়, শিশুদের জন্য পার্ক, ক্যাকটাসের গার্ডেন, রিভার রাফটিং–সহ আরও একাধিক আকর্ষণীয় জিনিস রয়েছে এখানে।

কিন্তু এই মূর্তি কে ঘিরে জল্পনা র সুর শোনা যাচ্ছে টিকিট এর অর্থ সংগ্রহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে মা’মলা রুজু করে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।

সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সুউচ্চ মূর্তিটির তৈরি করা নিয়ে আগেই বিতর্ক এর কোনো অন্ত ছিলো না এবার অভিযোগ, যে সংস্থাকে টিকিটের অর্থ সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদেরই কয়েকজন কর্মী ৫.‌২৪ কোটি টাকার অর্থ তছরুপ করেছে।

তদন্ত করে জানা গেছে যে মূর্তি কর্তৃপক্ষ যে ব্যাংকে দু’‌টি অ্যাকাউন্ট খুলেছিল, সে ব্যাংকের তরফেই এই সংস্থাটিকে টিকিটের অর্থ সংগ্রহের বরাত দেওয়া হয়। ওই সংস্থার কাজ ছিল, পর্যটকদের থেকে টিকিট বাবদ আগের দিনের জমা পড়া অর্থ, পরেরদিন ব্যাংকে গিয়ে জমা করা। আর সেখানে গন্ডগোল এর সূত্রপাত।

কিন্তু সম্প্রতি ভদোদরার ওই বেসরকারি ব্যাংকের অডিটে দেখা যায়, ব্যাঙ্কের ডিপোজ়িট স্লিপের সঙ্গে জমা পড়া অর্থের কোনও মিল নেই। এরপরই সোমবার রাতে ওই বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার স্থানীয় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন।

জানান, নভেম্বর ২০১৮ থেকে মার্চ ২০২০ পর্যন্ত কোনও অর্থই নাকি জমা পড়েনি। সবমিলিয়ে যার পরিমান পাঁচ কোটি ২৪ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৭৫ টাকা। ডেপুটি সুপারিন্টেন্ড্যান্ট বাণী দুধাত এই প্রসঙ্গে জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ এবং ১২০–বি ধারায় মা’মলা রুজু করা হয়েছে।

বে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি  তবে এই অর্থ তছরুপের ব্যাপারে অবশ্য কোনও দায় নিতে চায়নি ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি ব্যাংক ও ওই সংস্থার বিষয়। ইতিমধ্যে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র অ্যাকাউন্টে ওই অর্থ ব্যাংকের তরফ থেকে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে।
তবে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ এর মত এক মূল্যবান সম্পদ এর ক্ষেত্রে এই হেরফের খুব ই কষ্ট এর।