একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেম! খরচ জোগাতে সারারাত গাড়িও চালাতেন রণদীপ

রোহতকের এক জাঠ পরিবারে ১৯৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি, বাবা রণবীর হুডা পেশায় ছিলেন চিকিৎসক, মা আশাদেবী সামাজকর্মী, চাকরির সূত্রে তাঁর বাবা থিতু হতে পারেননি এক জায়গায় কোথাও!

তাই দিদি অঞ্জলি আর ভাই সন্দীপের সাথে দিদার সাথেই শৈশব কেটেছে রণদীপের, বর্তমানে তাঁর দিদি চিকিৎসক হিসেবে আমেরিকায় কর্মরতা, ভাই সন্দীপ সিঙ্গাপুরে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।

রণদীপের পরিবার বরাবর তাঁকে চিকিৎসক হিসেবে দেখতে চাইলেও তিনি এমবিএ করতে যান অস্ট্রেলিয়ায়, প্রথম বছরে সেখানে অকৃতকার্য হওয়ায় বাড়িতে জানাতে পারেন না, ফলত নিজের খরচ চালানোর জন্য গাড়ির ক্লিনার, রেঁস্তোরায় কাজ থেকে শুরু করে ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি!

রগচটা হিসেবে পরিচিত রণদীপকে কাটাতে হয়েছে জেলেও, কথা কাটাকাটির জেরে এক রিকশাওয়ালাকে চড় মারার কারণে জেলে কাটান তিনি!

বরাবরই মেধাবী অভিনেতা ছিলেন দিল্লির থিয়েটারের প্রেক্ষাপট থেকে উঠে আসা রণদীপ, কিন্তু প্রচার পাননি তেমন কখনোই! রামগোপাল বর্মার অবদান তাঁর জীবনে অনেকখানি, শোনা যায়, তাঁর সমস্যার সময় নাকি রামগোপাল বর্মা তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন, এমনকি ৩৫ হাজার টাকা মাসোহারার ব্যবস্থা অবধি করে দেন!

প্রথম ডেবিউ মনসুন ওয়েডিং সিনেমার মাধ্যমে, তারপর একের পর এক চলেছে “সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার”, ‘জন্নত টু‌’, ‘মার্ডার থ্রি’, ‘সরবজিৎ’, ‘ককটেল’, ‘হিরোইন’, ‘হাইওয়ে’, ‘কিক’ ছবিতেও!

তিনি তেমন প্রচারের আলো পান না দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও, এটাই আক্ষেপ তাঁর অনুরাগীদের, তবে রাজা রবি বর্মার জীবন নিয়ে বানানো “রঙ্গরসিয়া” তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে খ্যাতির শীর্ষে!

এমনকি এই কুশলী অভিনেতার কদর করেছে হলিউডও! বিখ্যাত অভিনেতা ক্রিস হেমসওয়ার্থের বিপরীতে তাঁকে দেখা যায় “এক্সট্রাকশন” সিনেমাটিতে!

বহু সম্পর্কেও জড়িয়েছেন এই সুপুরুষ অভিনেতাটি, সুস্মিতা সেন থেকে নীতু চন্দ্র, অদিতি রাও হায়দারি, অনেকের সাথেই নাম জড়িয়েছে তাঁর! কিন্তু বিচ্ছেদও হয়েছে!

সুঅভিনেতা রণদীপ অভিনয়ের সাথে দক্ষ ঘোড়সওয়ারিতেও! তাঁর ঘোড়ার সংগ্রহ রীতিমত ঈর্ষণীয়!
প্রত্যাশিত স্টারডম না পেলেও বরাবর দর্শকদের মনের কাছাকাছি ছিলেন ও থাকবেন এই কুশলী অভিনেতা!