তিনটি বিশাল কোবরা সাপ মুখোমুখি, রেগে ফোঁস করে উঠল, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই নানারকম ভিডিও ভাইরাল হয়ে থাকে। তার মধ্যে কোনটি বেশ মজার হয়, কোনটি শিক্ষামূলক, বা কিছু ভিডিও সত্যিই আমাদের অবাক করে দেয়।

মানুষের সাথে সাথে পশুপাখিরাও পিছিয়ে নেই এই দৌড়ে। তাদের মজার ভিডিও আমাদের অত্যন্ত আনন্দ দেয়। কিন্তু কিছু কিছু ভিডিও সত্যিই দেখলে শিহরিত হতে হয়।

কিছুদিন আগে ভাইরাল হয়েছিল তিন সাপের দুর্ধর্ষ লড়াই, যা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন দর্শক। এছাড়াও ভাইরাল হয়েছিল

নিজের সন্তানদের বাঁচাতে হরিণ মায়ের নিজেকে চিতাবাঘ এদের হাতে সঁপে দেওয়া, মায়ের এই আত্মত্যাগ কাঁদিয়েছিল গোটা পৃথিবীকে।

পশুপাখিদের ও মানুষের মতোই অনুভূতি আছে, শুধু তারা তাদের অনুভূতি গুলি সকলের সামনে মানুষের মত ব্যক্ত করতে পারে না।

তাদের মতো ভালোবাসা পাওয়া সত্যিই দুর্লভ। কিন্তু সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হবার সব ভিডিও গুলোই কিন্তু ভালোবাসা প্রদর্শন করে না,

এর মধ্যে হিংসা অত্যাচার ও হত্যার মতো অনেক ভিডিও কিন্তু ভাইরাল হয়। পশুপাখিদের সমাজেও একই জিনিস দেখা যায়, পেটের জন্য সবাই কাতর।

ক্ষুধা এমন এক প্রবৃত্তি ,যাকে ঠান্ডা করতে আরেক পশুকে ভক্ষণ করেই তবে মাংসাশী প্রাণীর ক্ষুদা নিবৃত্তি করতে হয়।

কিন্তু কথায় আছে “লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু”। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে যেন এই কথাটি প্রমাণ দেখলাম আমরা।

সর্প জাতি চিরকালই রহস্যময়, কথিত আছে এরা সম্মোহনী শক্তির মাধ্যমে পশুপাখিদের স্বীকার করে। যদিও বৈজ্ঞানিক মতে তা সত্যি নয় বলেই প্রমাণিত হয়েছে।

এদের মধ্যে ছোট ছোট সাপগুলি ব্যাং, পোকা প্রভৃতি খেয়ে বাঁচলেও বড় সাপেদের অন্যান্য বড় পশু গিলে খেয়ে তবেই খিদে মেটাতে হয়।

পৃথিবীতে বিষধর এবং বিষহীন দু’রকম সাপই আছে। সাপেদের শ্রবণশক্তি তীক্ষ্ণ এবং এদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ। এরা সাধারণত নিজে থেকে কখনোই আক্রমণ করে না,

আত্মরক্ষার প্রয়োজনে অথবা শিকার করার জন্যই তারা আক্রমণ করে থাকে। তাই এদের খুব শান্ত মাথায় ট্যাকেল করতে হয়।

কিন্তু অধিকাংশ মানুষই বিষয়টি না জেনেই সাপ সম্পর্কে নানা রকম কুসংস্কার পোষণ করে থাকেন। তাই অধিকাংশ জায়গায় সাপকে প্রথমেই মেরে ফেলা হয়।

কিন্তু বর্তমানে গঠিত হয়েছে নানা সর্প রক্ষা কমিটি। মোহাম্মদ আরিফ, সমিরন প্রভৃতি ব্যক্তিরা সাপ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান প্রদান করে সাপটিকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছতে সাহায্য করেন।

তাদের সাহসিকতার ভিডিওগুলি আমরা প্রায় সময় ইউটিউবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাই। কিন্তু মানুষের মধ্যে কুসংস্কার এখনো অব্যাহত।

তাই অনেক বিরল প্রজাতির সাপ আজ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনটি বিষাক্ত সাপ তিনজনের দিকে স্থির দৃষ্টিতে ফণা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

তাদের উত্তোলিত ফনা পরস্পরের দিকে স্থির করা, যেন কোন অদৃশ্য সংকেতের অপেক্ষা করছে তারা। যেন সেই অদৃশ্য সারাটি পেলেই পরস্পর পরস্পরের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়বে চকিতে।

তাদের উদ্যত ফণা যেন দংশনেরই অপেক্ষায় রয়েছে। একটি গ্রাম্য মাঠের মধ্যে দৃশ্যটি তোলা হয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

এই অদ্ভুত ভিডিও দেখে অবাক হয়ে গেছেন দর্শকরা। এই রহস্যময় ভিডিও তাদের শিহরিত করে তুলেছে। কোন অদৃশ্য আগন্তুক তাদের নেপথ্যে রয়েছে, তার রয়ে গেল অজানাই।

ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে “অঞ্জু ধূর্ভে” নামে একটি অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ ভিডিওটি লাইক করেছেন।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছেন চারিদিকে। কমেন্ট বক্স ভরে গেছে নানারকম কমেন্টে। অদ্ভুত রহস্যময় ভিডিওটি ভাবিয়ে তুলেছে সকলকে।

প্রকৃতির লীলাখেলা সত্যি বোঝা ভার। তিনটি সাপের এই আচরণের পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি দর্শকরা।

পৃথিবীতে জীব বৈচিত্র রক্ষায় পশুপাখিদের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু মানুষ অত্যন্ত নির্দয় হয়ে অবিবেচকের মতো অনবরত জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে চলেছে।

আজকে উদ্ভিদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় দিকে দিকে দেখা যাচ্ছে নানা রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় গ্লোবাল ওয়ার্মিং প্রভৃতি। প্রকৃতিকে বাঁচাতে আমাদের জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ করতেই হবে। নচেৎ পৃথিবী কালে কালে এটি প্রাণহীন গ্রহ তে পরিণত হবে।