একেবারে বাজে রান্না! সারাদিন টিভি দেখে শাশুড়ি, সোজা থানায় ফোন করে অভি’যোগ জানাল বৌমা

প্রতিটি সম্পর্কেই কখনও না কখনও ঝ’গ’ড়া হয়েছে আর শাশুড়ি-বউমার ঝ’গ’ড়া তো নতুন কিছু নয়। কম-বেশি প্রায় সব ঘরেই মাঝেমধ্যে এরকম অ’শা’ন্তি দেখা যায় আসে একসাথে থাকলে মনো’মালিন্য সকলের মধ্যেই দেখা যায়।

তবে সব ঝ’গড়া মনোমালিন্যের মধ্যে সী’মাবদ্ধ নয় কখনও কখনও শাশুড়ি বৌমার ঝ’গড়াও মা-রা-ত্বক আকার ধারন করে আর থানা-পু’লিশ পর্যন্তও মা’ম’লা গড়ায়।

সম্প্রতি যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে বৌমা অ’খাদ্য খাবার দেওয়া এবং সারাদিন টিভি দেখার জন্য শাশুড়ির নামে পু’লি’শে মা’ম’লা দায়ের করলেন।

উটটিরপ্রদেশে শাশুড়ি বৌমার এই ঘট’নাটি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সামনে এসেছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোরক্ষপুরের বাসিন্দা ওই মহিলার দীর্ঘদিন আগেই বিয়ে হয়েছিল।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গিয়েছে শাশুড়ি ও বৌমার মধ্যে সম্পর্ক শুরু শুরুতে তাও ভালো ছিল কিন্তু সম্প্রতি শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।

এখন তো প্রতিদিনই কিছু না কিছু নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝা’মেলা লেগে থাকত। হঠাৎ একদিন তাদের ঝা’মেলা চরমে ওঠে আর বৌমাটি শেষপর্যন্ত পু’লি’শে ফোন করে শাশুড়ির নামে অ’ভি’যোগ জানান।

পুলিশ অ’ভি’যো’গ পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যান আর সেখানে পৌঁছেই পৌঁছেই আসল ঘট’নাটি জানতে পারেন আধিকারিকরা।

বৌমাটি পুলি’শকে তাঁর শাশুড়ির নামে অভি’যোগ করে বলেন যে, তাঁর শাশুড়ি সারাদিন টিভিই দেখেন রান্নাবান্না করেন না আর তাঁকে ন’ষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খেতে দেন যেকারণে বারংবার অ’সু’স্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।

ওই মহিলার শাশুড়ি অবশ্য থেমে থাকেনি নি। তিনিও পুলিশ আধিকারিকদের কাছে তার বৌমার বি’রু’দ্ধে পালটা অ’ভিযোগ জানান।

তিনি বলেছেন যে, তার বউমা সারাদিন মোবাইল নিয়েই বসে থাকে, তাঁকে রান্না বা বাড়ির কোনো কাজে সাহায্যও করে না। এরপর তিনি তার বউমাকে মি’থ্যে’বা’দীও আখ্যা দেন।

অভি’যোগ, পালটা অভিযোগে পু’লি’শরা আসল ঘ’ট’নাটি বুঝতে পারেন এবং শাশুড়ি বৌমা দু’জনকেই বোঝান তাঁরা। তাদের বোঝানোর পর শাশুড়ি ও বউমা উভয়ই তাদের অভি”যোগ প্র’ত্যা’হার করে নেন। যাওয়ার আগে পু’লি’শ অবশ্য হুঁ’শি’য়া’রি দিয়েছেন যে আগামিদিনে এই ধরনের অ’ভি’যোগ যাতে না হয়।