







সাপেদের মধ্যেও থাকে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক। তারাও খুঁজে নেয় সঙ্গী। এই প্রেম-ভালোবাসাকে সাধারনত সাপের শঙ্খ লাগা বলা হয়ে থাকে। হিন্দু মতে সাপের শঙ্খ লাগা দেখা নাকি শুভ।




অনেকেই শাপের শঙ্খ লাগা দেখেছেন। যদিও সাপের শঙ্খ লাগা খুব বেশি দেখতে পাওয়া যায় না। কালেভদ্রে এই দৃশ্য মানুষের চোখে পড়ে। বিশেষত বর্ষাকালে বন-বাদাড়ে দেখা যায় সাপের শঙ্খ লাগা দৃশ্য। অনেকেই এই দৃশ্যের সাক্ষী।




দুটি সাপের এই প্রেম ভালোবাসার মুহূর্তে তারা এতটাই মগ্ন থাকে যে আশেপাশের কোন কিছুই চোখে পড়ে না। অনেকেই মনে করেন সাপের শঙ্খ লাগলে নাকি বৃষ্টিপাত হয়।




আবার অনেকের ধারণা, সাপের শঙ্খ লাগা স্থানে কাপড় বিছিয়ে দিতে পারলে সেই কাপড় বাড়িতে এনে রাখলে সারা জীবন মা লক্ষ্মীর কৃপা থাকে সেই বাড়িতে।




সাপের শঙ্খ লাগা দৃশ্য চোখে পড়লে সন্তান লাভ হওয়ার পাশাপাশি মামলা-মোকদ্দমায় জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও এই সমস্ত ধ্যান-ধারণা অনেকেই কুসংস্কার বলে মনে করেন।




বিজ্ঞানের মতে সাপের শঙ্খ লাগা একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ঘটনা। সাপের মিলনের উপযুক্ত সময় হলো বর্ষাকাল। তাই এই সময় দুটি সাপের শঙ্খ লাগে বেশি।




যখন দুই সাপের মধ্যে শঙ্খ লাগে তখন দু’টি সাপের দেহ পেঁচিয়ে দেহের অর্ধেক রাশির মত মাটি থেকে অনেকটা উপরে উঠে যায়৷ অন্য ঋতুতেও সাপের মিলন হয়৷




সাধারণ ভাবে একটি পুরুষ ও একটি নারী সাপের মিলন ঘটে থাকে। ব্যতিক্রম হয় কখনো কখনো। সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সাপের শঙ্খ লাগা একটি ভিডিও।




ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি জলাশয়ের ধারে থাকা গাছের গুঁড়ির উপরে শঙ্খ লেগে গেছে দুটি বিশালাকৃতির কোবরা। দুটি সাপই একই প্রজাতির। গ্রামে-গঞ্জে বনেজঙ্গলে মূলত ফাঁকা জায়গায় বর্ষাকালের সময়টাতে সাপের শঙ্খ লাগা দৃশ্য চোখে পড়বে।




সাপের শঙ্খ লাগার এই দৃশ্য দেখে ক্যামেরাবন্দি করে নেন এক ব্যক্তি। মুহুর্তের মধ্যে নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে পোস্ট করে দেন। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই ভিডিও।








“ভগবান কি কথা” নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে সাম্প্রতিক পোস্ট করা হয়েছে এই ভিডিও। ইতিমধ্যে আড়াই লক্ষ মানুষ ভিডিওটি দেখে নিয়েছেন।
সাড়ে তিন হাজার লাইক পড়েছে ভিডিওটিতে। কমেন্ট সেকশনে সকলেই দেবাদিদেব মহাদেব আর মা মনসার নামে জয়গান গেয়েছেন।