প্রাক্তন কর্মচারীর বাড়িতে গিয়ে দরজার সামনে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে রতন টাটা

ভারতের প্রথম শ্রেণীর ব্যাবসায়ী হয়েও তিনি যে কতখানি মাটির মানুষ তা ফের একবার প্রমাণ করলেন রতন টাটা। প্রাক্তন কর্মচারীর অসুস্থতার খবর পেয়ে কাউকে কিছু না জানিয়েই পুনেতে তার বাড়ি ছুটে গেলেন তিনি।

শ্রমিক দরজা খুলে রতন টাটা দেখে অবাক হয়ে গেল। শ্রমিক প্রায় দুই বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাকে সারাদিন বাড়িতেই থাকতে হয়। ভারতীয় শিল্পপতি রতন টাটা একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তাঁর সম্পর্কে জানতে পারেন। এবং তারপরে ৬৩ বছর বয়সী রতন টাটা যা করেছে তা অন্য শিল্পপতিদের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করবে।

কর্মচারীর অসুস্থতার খবর পেয়ে একেবারে তাকে বাড়িতে দেখতে গেছেন স্বয়ং রতন টাটা। সেই ভদ্রলোক তো বাড়ির বাইরে হাত জোর করে দাঁড়িয়ে থাকা রতন টাটাকে দেখে থ। তিনি তখন কী করবেন, কী বলবনে বুঝতেই পারছেন না। আসলে তিনি ভাবতেই পারেননি, তাঁকে দেখতে খোদ রতন টাটা চলে আসবেন।

বলা হয়, ভারতে যদি ব্যাবসা করতে হয় তাহলে অম্বানির সাথে করো আর যদি চাকরি করতে হয় তবে টাটা কোম্পানিতে করো। টাটাদের কর্মচারীদের প্রতি স্নেহ নতুন নয়।

টাটা কোম্পানিতে কর্মরত প্রত্যেকেই অন্যান্য কোম্পানিদের তুলনায় বেশিই সুযোগ ও সম্মান পেয়ে থাকেন মালিকপক্ষের তরফে। এবার লিনকডিনে কর্মচারীর অসুস্থতার খবরে তাকে দেখতে গেলেন রতন টাটা।

লিংকডিনে ঐ কর্মচারী জানিয়েছিলেন তিনি গত দুই বছর ধরে অসুস্থ। সেই পোস্টটি নজরে আসে রতন টাটার। তিনি ছুটে যান সেখানে। দরজা খুলে রতন টাটাকে বাড়ির বাইরে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে থ হয়ে যান ঐ কর্মচারী।

রতন টাটা তাঁর শরীরের খোঁজ খবর নেন। তাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দেন। তারপর অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেন নি তিনি। কাজ মিটিয়ে কুশল বিনিময় করে চলে আসেন তিনি।

মানুষটি ব্যক্তিগত জীবনে যে কত মাটির কাছাকাছি তা তার সামাজিক মাধ্যম থেকেই জানা যায়। কর্মচারীদের প্রতি সব সময়ই নরম মনোভাব রাখেন রতন টাটা। আর তাঁর মানবিকতা বোধ নিয়ে তো নতুন করে বলার প্রয়োজনই পড়ে না।