প্রসেনজিৎ-এর উপর নেপটিজমের অভিযোগ এনেছিলো শ্রীলেখা, এবার মুখ খুললেন অভিনেতা

সুশান্তের মৃ*ত্যুর পর থেকেই নেপোটিজম নিয়ে উত্তাল সারা বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। শুধুমাত্র বলিউড নয়, টলিউড একই অভিযোগ বারবার উঠেছে এর আগে। স্বজনপোষণের ঘটনা নিয়ে আগেও মুখ খুলেছেন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী।

তবে আবারো টলিপাড়া কে উত্তেজিত করে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেতা এবং অভিনেত্রী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের গুরুতর অভিযোগ এনেছেন শ্রীলেখা।

এর আগেই জুন মাস নাগাদ তিনি একথা বলেছিলেন। তার সেই ভিডিও নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সমস্ত টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। এই ভিডিওটিতে তিনি বলেছিলেন যে,”টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার জন্য গডফাদার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা কোন কিছুর বিনিময় কাজ পাইয়ে দেন। আমার কোন গডফাদার ছিল না। সেসময় ইন্ডাস্ট্রি চালাতে প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিত এবং তাপস দা। কিন্তু সবার ঊর্ধ্বে ছিলেন বুম্বাদা”।

শ্রীলেখার অভিযোগ করেছিলেন যে,”উপযুক্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নায়িকা চরিত্রে একমাত্র নেওয়া হতো ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত কে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঋতুপর্ণা তখন প্রেমের সম্পর্ক ছিল।তাই ঋতুপর্ণা সব সময় যোগ্য না হয়েও কাজ পেয়ে যেতেন।

শ্রীলেখার এই বিস্ফোরক মন্তব্যের প্রচুর ছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অবশেষে দীর্ঘ চার মাস পর তিনি এই বিষয়ে কথা বললেন। অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি লাইভে কারোর নাম উল্লেখ না করেই তিনি এই অভিযোগের জবাব দেন।

সঞ্চালক জয়জিৎ যখন অভিনেতা কে জিজ্ঞাসা করেন,”আমি ইন্ডাস্ট্রি! তুমি অনেক কাউকে কাজ করে দিয়েছো, কিন্তু এখন অন্য কথা শোনা যাচ্ছে, এই বিষয়ে তুমি কি বলতে চাও”?

এই কথার উত্তরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন যে,”সিনেমা জগৎ গোটা পৃথিবী জুড়ে একইরকম।যদি কেউ আমার ভুল প্রমাণ করে দিতে পারেন তাহলে আমি অবশ্যই মাথা পেতে নেব। তুমি সব কিছু করতে পারো। কিন্তু দর্শক টিকিট কেটে সিনেমা দেখবে, সেটা কিন্তু কারুর হাতে নেই। দর্শককে জোর করে টিকিট কাটানো যায় না”। তিনি আরো বলেন যে,”ঈশ্বরের আশীর্বাদে বাংলার মানুষ আমার সিনেমা দেখেন, এখানে আমার কোন দোষ অথবা অন্যায় নেই”।