বোম্বাইয়ের মঞ্চে নিজের ইচ্ছাপূরণ করতেই, রাস্তায় থাকা পথোশিশুদের হোটেল নিয়ে গিয়ে খাবার খাওলেন শিশু শিল্পী প্রাঞ্জল বিশ্বাস, ভাইরাল ভিডিও

‘আমি ভবঘুরেই হবো এটাই আমার অ্যাম্বিশন’ এমন‌ই খানিকটা অ্যাম্বিশন রয়েছে প্রাঞ্জল বিশ্বাসের। তাঁর ইচ্ছে ফকির হ‌ওয়ার।

একদিন হারিয়ে যাওয়া সাইকেল খুঁজতে খুঁজতে এক ফকির বাবার সাথে আলাপ হয় তাঁর। সেই ফকিরবাবাই ওর হাতে তুলে দেয় দোতারা।

আর সেটাই এখন সবসময়ের সঙ্গী। জীবনদর্শনের এমন পাঠ সে পেয়েছে যে বড় হয়ে ‘ফকির’ হওয়ার স্বপ্নই দেখে এই ছেলেটি।

তার গান শুনে হারিয়ে যান সকলেই। পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এক বাচ্চা ছেলেই বর্তমানে সুপারস্টার সিঙ্গারের মঞ্চ মাতাচ্ছে। তাঁকে তার ভবিষ্যৎএর জন্য জায়গা করে দিচ্ছে সুপারস্টার সিঙ্গার। প্রতিভাকে গোটা দেশের সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে রিয়্যালিটি শোগুলির জুরি মেলা ভার। বহু বছর ধরে সেই কাজটাই করে চলেছে সুপার স্টার সিঙ্গার। সম্প্রতি শেষ হয়েছে এই শোয়ের দ্বিতীয় সিজন। জনপ্রিয় সোনি চ্যানেলের এই গানের রিয়্যালিটা শোয়ে বিচারকের আসনে রয়েছেন অলকা ইয়াগনিক, হিমেশ রেশমিয়ার মতো সঙ্গীতের মহারথীরা। আজ যে এপিসোডটির স্মৃতিচারণা করব সেদিনের এপিসোড ছিল কিছুটা বিশেষ। কারণ এদিন প্রত্যেক প্রতিযোগীর ইচ্ছেপূরণের দায়িত্ব নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

প্রত্যেকেই কেউ নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য কিছু চেয়েছে। কিন্তু যখন প্রাঞ্জলের ইচ্ছে জানতে চাওয়া হল যে তার কি আকাঙ্ক্ষা, সে জানায় একটা গোটা দিন সে পথশিশুদের সঙ্গে কাটাতে আগ্রহী। যারা পথে ঘাটে খায়, খেলে, যাদের জীবনে বিশেষ বলে কিছুই নেই তাদেরকে আনন্দ দেওয়ার বাসনা রয়েছে প্রাঞ্জলের।সেইমতো গাড়ি নিয়ে প্রাঞ্জল চলে যায় একটি বস্তিমতো এলাকায়। সেখানকার সাত আটটি শিশুর সঙ্গে সে কথা বলে। জানায়, একটা গোটা দিন সে তাঁদের সবার সঙ্গে আনন্দ করতে আগ্রহী। সকলকেই জড়িয়ে ধরে প্রাঞ্জল। গাড়িতে তুলে নেয় সে। গোটা রাস্তা জুড়ে হাসি আর আনন্দের ছটা।

রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে একটি বাচ্চাকে নিজে হাতে খাইয়ে দেয়। দিনশেষে সকলের হাতে তুলে দেয় সাধ্যমতো উপহার। এই গোটা দিনটির রেকর্ডিং যখন সুপারস্টার সিঙ্গারের মঞ্চে প্লে করা হয় তখন প্রত্যেকে সাধুবাদ জানায় প্রাঞ্জলকে। এই ছোটো বয়সে জীবনদর্শনের মহানুভবতার আঁচ সে করতে পেরেছে, ভবিষ্যতে কত না বড় মানুষ সে হবে! ভিডিওটি পাঁচমাস আগে পোস্ট করা হয়েছিল সেট ইন্ডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল থেকে। ইতিমধ্যেই প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন।