পড়াশোনার খরচ চালাতে রাত্রে শহর ঘুরে ঘুরে সাইকেল চালিয়ে চা বিক্রি করে ইন্দোরের পড়ুয়া, যুবকের জীবন সংগ্রাম দেখে মুগ্ধ নেটজনতা

আমাদের অজুহাতের শেষ নেই, এটা সম্ভব নয় কারণ এই হয়েছে, এটি হবে না কারণ ওটা নেই। অজুহাতের বুকনি ঝেড়ে আমরা পিঠ বাঁচানোর পথ খুঁজি।

কিন্তু এটা ভুলে যাওয়া চলবে না যে ইচ্ছে থাকলে উপায় মিলবেই। যদি লক্ষ্য স্থির থাকে তবে এগিয়ে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।

আর তার‌ই নজির মিলল ফের একবার স্যোশাল মিডিয়ার দৌলতে। একটি ছেলে এগিয়ে চলেছে সাইকেল চালিয়ে, কেরিয়ারের সাথে বাঁধা একটি ক্যান।

সাইকেলের সামনে লাগানো একটি বোর্ড, সেখানে লেখা রয়েছে ‘সাইকেল ওয়ালি চায়ে’। পেছনের একটি বাইক থেকে প্রশ্ন ধেয়ে আসে, “চা আছে?” চকিতে পেছন ফিরে একমুখ হেসে সে উত্তর দেয় “হ্যাঁ”। এই শুরু, একটি অসাধারণ গল্প শোনার, যা আদতে সত্যি। অজয় আনন্দ, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বসবাসকারী এক আদিবাসী যুবক। বাড়িতে অভাব অনটন। কিন্তু খুব‌ই কৃতী ছাত্র সে। পড়াশোনার ইচ্ছেও রয়েছে। সেইজন্যেই চা বিক্রি করে টিউশনের খরচ যোগাচ্ছে সে। সন্ধ্যার পর থেকে ইন্দোরের রাস্তায় দেখা মিলবে তাঁর। গোটা শহর ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করে বেড়ায় সে। তাঁর এই স্ট্রাগলের কথা জেনেছিলেন সাংবাদিক গোবিন্দ গুর্জর। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এ খবর প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সঙ্গে দিয়েছিলেন একটি ভিডিওও।

গুর্জার টুইটে লেখা, “ইন্দোর…আমাদের আদিবাসী ভাই অজয়ের সাথে দেখা করুন। অজয় দিনে পড়াশোনা করে এবং রাতে চা বিক্রি করে তার কোচিং ক্লাস এবং জীবনযাত্রার খরচ চালায়। অজয় একদিন জীবনে সফল হলে এই ভিডিওটি তার সংগ্রামের জীবন্ত প্রমাণ হয়ে উঠবে।” এই টুইটের কমেন্ট সেকশন অজয়ের প্রশংসায় পূর্ণ। একজন ব্যবহারকারী অজয়ের গল্পটিকে অনুপ্রেরণামূলক বলে অভিহিত করেছেন এবং অন্যান্য যুবকদের তার কাছ থেকে শিখতে বলেছেন। এমন দায়িত্বশীল তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ বলে মন্তব্য করেছেন আরেক ব্যবহারকারী। অজয় ভবিষ্যতে খুব সফল হোক এই কামনা করছেন নেটিজেনরা।