



বলিউডে এমন অনেক তারকা ছিলেন যারা তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে শূন্য থেকে শীর্ষে পৌঁছেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন নানা পাটেকর,




(Nana Patekar)। বিস্ফোরক অভিনয় এবং বাঘা বাঘা সংলাপ বলার জন্য বিখ্যাত ছিলেন এই অভিনেতা। হিন্দি চলচ্চিত্র থেকে মারাঠি চলচ্চিত্র পর্যন্ত,




শক্তিশালী অভিনয় দক্ষতা ছড়িয়ে দিয়ে সবার থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন এই অভিনেতা।নানা পাটেকর দেশের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা।




স্কুল জীবন থেকেই থিয়েটার শুরু করেন তিনি। এরপর আর্টস কলেজ থেকে স্নাতক হয়ে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ শুরু করেন।
View this post on Instagram
তারপর ধীরে ধীরে অভিনয় জীবনে প্রবেশ করেন এবং দর্শকদের দিতে থাকেন একাধিক হিট চলচ্চিত্র উপহার। রিপোর্ট বলছে, লিট্টি এবং ছোলা শাক খেতে খুবই পছন্দ করেন এই অভিনেতা। সেইসঙ্গে নিজেকে ফিট রাখতে ব্যায়ামও করেন অভিনেতা নানা পাটেকর। তবে এটা খুবই কম মানুষে জানেন, যে খুব ভালো রান্না করতে পারেন নানা পাটেকর। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের রান্না করা তাঁর শখ বল যায়।
View this post on Instagram
জানা যায়, ‘প্রহর’ চলচ্চিত্রের কারণে তিন বছর সেনা প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে ক্যাপ্টেন পদও লাভ করেছিলেন নানা পাটেকর। জানলে অবাক হবেন, এক একটি চলচ্চিত্রের জন্য কোটি টাকারও বেশি পারিশ্রমিক নেন এই অভিনেতা। এছাড়াও ব্র্যান্ডের প্রচার, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন তিনি। আবার কৃষিকাজ করতে ভালোবাসায় ধান এবং গমের মত শস্য উৎপাদন করে,
View this post on Instagram
সেই অর্থ কৃষকদের সাহাযার্থে ব্যয় করেন নানা পাটেকর। বাড়ি-গাড়ির কথা বলতে গেলে, মুম্বাইতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি ছাড়াও পুনের কাছে খাদকওয়াসলায় একটি বিলাসবহুল খামারবাড়ি রয়েছে তাঁর, যা প্রায় ২৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এই খামার বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় কাটানোর পাশাপাশি গম, ধান ও অনেক শাক-সবজি করেন এখানে। অন্যদিকে নানা পাটেকরের সংগ্রহে ২-৩ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি Mahindra Jeep CJ4
প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার একটি Audi Q7 এবং প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার একটি Mahindra Scorpio রয়েছে। এই মুহুর্তে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মালিক হওয়া সত্ত্বেও, খুবই সাদামাটা জীবন কাটান এই অভিনেতা।জানিয়ে রাখি, খুবই দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন অভিনেতা নানা পাটেকর। বাবার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পর নানা পাটেকর নিজেই জেব্রা ক্রসিং ও ছবির পোস্টার এঁকেছিলেন। তিনি এমন জায়গায় একটি খণ্ডকালীন চাকরিও করতেন যেখানে তিনি প্রতিদিন ৩৫ টাকা এবং দিনে একটি খাবার পেতেন। সেই কারণেই আজও খুবই সাধারণ ভাবেই থাকেন নানা পাটেকর।