নবান্ন অভিযানের রঙিন জলকা’মানে ছিল ক’রো’না ভাইরাস, উদ্ভট দাবি বিজেপির

বিজেপির নবান্ন অভিযানে জলকামানের মেশানো ছিল করোনা ভাইরাস এমনটাই অভিযোগ করল গেরুয়া শিবির।রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনল বিজেপি।

তাদের অভিযোগ, দলের যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানের সময় করো’নাভাইরাস মিশ্রিত রাসায়নিক জলকামানে ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী করোনা আ’ক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ করেন ওই জলকামানের মেশানো ছিল ক’রো’না ভাইরাস। যার ফলে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সং’ক্রম’ণ ছড়িয়ে পড়েছে। ঐ রঙিন জলে ভেজা পর বহু বিজেপি কর্মী ক’রোনা আ’ক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি সৌমিত্র খাঁ এর।

বুধবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিজেপির ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ও সৌমিত্র খাঁ।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক দফতর ‘নবান্ন’র দিকে বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে এগোনোর চেষ্টা করছিল। সেই সময়ই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে। সেই সময়ই বিজেপি অভিযোগ করেছিল, “সেই জলের মধ্যে রাসা’য়নিক মেশানো ছিল।

তাদের দাবি যথেষ্ঠ শান্তিপূর্ণভাবে এই মিছিল এগোচ্ছিল তাহলে কেন হা’ম’লা করলেন মমতার পুলিশ বাহিনী।আবার যে জলকামান দিয়ে হা’ম’লা করা হয়েছে সে জলকা’মা’নের মেশানো সে জলকা’মা’নের ভাই’রাসের রাসা’য়নিক।

ওইদিনই সাংবাদিক বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, জলকামানে পুলিশ যে জল ব্যবহার করেছে, তাতে কোনও রা’সায়’নিক ছিল না। আলাপন জানিয়েছিলেন, ‘জলকা’মা’নে কোনও রাসা’য়নিক ব্যবহার করা হয়নি।

এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। পুলিশ নিজের কর্তব্যটুকু পালন করেছে। প্রতিবাদকারীদের আটকানো হয়েছিল। কারণ, তাঁরা ম’হা’মারী আইন ভঙ্গ করেছিলেন। এই একই কারণে তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়।’ সেইসঙ্গেই সারা বিশ্বের নানান জায়গার কথা তুলে ধরে বলেছিলেন, বিক্ষোভকারীদের চেনার সুবিধার জন্যই বিশ্বজুড়ে সর্বত্র জলকা’মা’নে রঙিন জল ব্যবহার করা হয়।