“বিজেপি পার্টি আমার ভালো লাগছে না”, পরিষ্কার জানিয়ে তৃণমূলে ফিবলেন মুকুল রায়

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন মুকুল রায়। মুকুল রায়ের মতে, “বিজেপি পার্টি আমার ভালো লাগছে না। বিজেপি বড় পার্টি। কিন্তু আমার সেখানে ভালো লাগছে না।

এর চেয়ে বড় কারন আর কি হতে পারে?” শুক্রবার তৃণমূল ভবনে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য প্রথম সারির তৃণমূল নেতাদের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা মুকুল রায়ের।

তবে কেন বিজেপিকে তার ভালো লাগলো না, এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে চাননি মুকুল রায়। যদিও মুকুলের ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীদের মতে, মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্তের কার্যকারণ তত্ত্ব জানেন। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ১৮টি আসনে জয়লাভ করানোর মূলে ছিলেন মুকুল রায়।

প্রকাশ্য জনসভায় একথা অমিত শাহ স্বীকার করে নেন। কিন্তু, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটের প্রচারে মুকুল রায়কে সেভাবে ব্যবহার করেনি বিজেপি।

নির্বাচনের আগে সল্টলেকে নিজের গেস্ট হাউসে নিজের অনুগামীদের নিয়ে বসেছিলেন মুকুল রায়। কলকাতা থেকে সরিয়ে একেবারে কৃষ্ণনগরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী করে দেওয়া হয় মুকুল রায়কে। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র বিধানসভার বিধায়ক হবার জন্য বিজেপিতে যোগদান করেননি মুকুল রায়।

তৃণমূলে থাকার সময় যেসকল গুরু দায়িত্বগুলি তিনি পালন করতেন, বিজেপিতে এসেও একই ভাবনা চিন্তা করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিজেপিতে শুধুমাত্র আলংকারিক পদ দেওয়া হলেও সেভাবে তার গুরুত্ব ছিল না।

দিন কয়েক আগে মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছিলেন, “এইযে বাবার কোভিড হয়েছে, দলের কেউ খোঁজ নিয়েছে? বলা হয় দল একটা পরিবার। এই তার নমুনা।

আমার মা হাসপাতালে এক পক্ষকালেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন। কেউ কোনো খোঁজ নেননি!” ফলস্বরূপ মনে করা হচ্ছে, বিভিন্ন কারণেই দল ছাড়তে বাধ্য হলেন মুকুল রায়।