“বিজেপিকে শক্তিশালী করুন”, পার্টি ফান্ডের জন্য অনুদান চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

দলকে শক্তিশালী করে তোলার উদ্দেশ্যে সারা দেশজুড়ে “মাইক্রো ডোনেশন” অভিযান শুরু করল বিজেপি। এই মাইক্রো ডোনেশন অভিযানের বিজ্ঞাপনে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন। ইতিমধ্যেই ব্যক্তিগতভাবে দলের তহবিলে এক হাজার টাকা অনুদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে গোটা দেশের কাছে তার অনুরোধ, “বিজেপি তথা দেশকে শক্তিশালী করতে অনুদান করুন”।

শনিবার একটি টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই টুইটে তিনি লেখেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির পার্টি ফান্ডে ১০০০ টাকা অনুদান করলাম। আপনারাও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুদান করুন। বিজেপিকে শক্তিশালী করুণ। এতে দেশ শক্তিশালী হবে। আমরা সবসময় দেশকে প্রধান্য দিই।

আমাদের ক্যাডারদের আজীবন আত্মত্যাগের আদর্শ আরও শক্তিশালী হবে।” এই টুইট করে তিনি পার্টি ফান্ডে জমা দেওয়া টাকার একটি রশিদ পর্যন্ত পোস্ট করেছেন। সেই রশিদের উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই তহবিলে টাকা জমা দিলে তা আয়করের অধীনে পড়বে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি যে রাজনৈতিক দলের জন্য অনুদান চাইলেন, সেই রাজনৈতিক দল অর্থাৎ বিজেপি বিগত কয়েক বছর ধরেই দেশের সবচেয়ে ধনী রাজনৈতিক দলের তকমা পেয়ে আসছে। শিল্পপতিদের কর্পোরেট চাঁদা থেকে শুরু করে ইলেক্টোরাল বন্ড সবদিক থেকেই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের থেকে অনেক এগিয়ে বিজেপি।

ইতিপূর্বে বিজেপির বিরুদ্ধে টাকার জোরে নির্বাচন জেতার অভিযোগ উঠেছিল। বর্তমানে সেই দল পার্টির জন্য পার্টি ফান্ডে অনুদান চাইছে। তাও আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে করেছে প্রধান মুখ। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পণ্ডিত দীন দয়াল উপাধ্যায়ের মৃত্যু দিবস পর্যন্ত বিজেপির এই মাইক্রো ডোনেশন ক্যাম্প চলবে।

দেশের সাধারণ নাগরিকরা ৫ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান করতে পারবেন পার্টির ফান্ডে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই এই ফান্ডের সূচনা করলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে যেভাবে পার্টির জন্য চাঁদা চাওয়া হল তাতে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।