“বাংলা উচ্চারণে ভুল হয়, তবু সততার সঙ্গে চেষ্টা করি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনী প্রচার কিংবা জনসভা সবেতেই এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক’ন্ঠে বাঙালির আ’বেগ বাংলা ভাষা। কোচবিহার হাওড়ার সভাতেও একই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

যদিও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী অ’স্পষ্ট বাংলা ভাষা নিয়ে কটা’ক্ষ করতেও ছাড়ে নি। শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, বিজেপি-র বাঙালি নে’তাদের বাংলা ভাষায় অ’স্পষ্টতা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

হাওড়ার জনসভা থেকে তৃণমূলের করা ক’টাক্ষের এবার তীব্র জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের বাংলা উচ্চারণে বেশ কিছু ভুল রয়েছে, একথা কার্যত স্বীকার করে নেন তিনি। বাংলাকে স’ম্মান করেন বলেই বাংলা ভাষায় কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে যান বলেও জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

হাওড়ার ডুনমুরজলার সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই নিজের বাংলা উচ্চারণের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আজকাল তো আমার উ’চ্চারণ নিয়েও দিদি আপত্তি তুলছেন”।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই সমস্ত সাংসদ এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের জ’ন্মদিনে তাঁদের মা’তৃভাষায় চিঠি লিখে শু’ভেচ্ছা জানানোর রেওয়াজ শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়াও এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই পরম্পরা আমি শুরু করেছিলাম৷ এর অর্থ তো এই নয় যে আমার সব ভাষায় জ্ঞান আছে৷ এর সোজা মানে এটাই যে আমি সব ভাষাকে স’ম্মান করি৷

যখন আমি দিদিকে বাংলা ভাষায় জ’ন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম, তখন উনি আমায় গুজরাতিতে জবাব দিয়েছিলেন৷ আমার তখন খুব ভাল লেগেছিল৷ এত ভাষায় এই দেশ সমৃ’দ্ধ, দুনিয়ায় কোথাও তা নেই৷”

শুধু বাংলার নয় অন্যান্য রাজ্যে গেলেও তিনি সেই রাজ্যের ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করেন। মোদি জানান, “আমি যেখানেই যাই সেখানে স্থানীয় ভাষায় কিছু কথা বলার চেষ্টা করি৷ তামিলনাড়ুতে গেলে তামিলে কিছু বলার চেষ্টা করি, কেরলে গেলে মালয়ালম ভাষায় অল্প কথা বলি৷ উচ্চারণে ভুল হয়তো হয়, কিন্তু সততার সঙ্গে তো চেষ্টা করি৷ আমি যখন হিন্দিতে কথা বলি তখনও ভুল হয়৷

আমার বাংলা উচ্চারণে অনেক ভু’ল আছে৷ তা সত্ত্বেও বাংলা শব্দ, বাংলায় বাক্য বলি কারণ আমি বাংলাকে সম্মান করি৷ দিদি এই বিষয়টিতে তো আপনার উৎ’সাহ দেওয়া উচিত৷ কিন্তু তাতেও উনি রে’গে যাচ্ছেন”।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “সোনার বাংলা সঠিক আচরণ- নীতি, সৎ চেষ্টা দিয়ে তৈরি হবে৷ বাংলার আচরণ হল পরিচ্ছন্ন ব্যবহার, মানব প্রেম ও দেশপ্রে’ম৷ সত্যতার প্রতি নিষ্ঠা৷ সেবা এবং বলিদান।” প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি অমিত শাহ, জে পি না’ড্ডারা বাংলায় এসে বাংলা ভাষাতেই কথা বলার চেষ্টা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নিজের ভাষণে আজকাল বাংলা কথা বেশি রাখছেন। সাজ স’জ্জাতেও ফুটে উঠেছে বাঙালিয়ানা। বারবার তুলে ধরেন বাঙালি মনীষীদের কথা। বাঙ্গালীদের মন জয় করতে খুবই তৎপর গেরুয়া শিবির।