‘এ দেশে প্রতিবাদ করলেই আপনি দেশদ্রোহী’ নাম না করে মোদি কে কটাক্ষ অপর্ণা সেনের

এবার নাম না করে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন দেশের বিদ্বজ্জনদের অন্যতম মুখ অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেন। তিনি বোঝাতে চাইলেন দেশের গণতন্ত্র কতটা সংকটে।

তিনি বললেন, ‘ এই দেশে এখন কোনও ঘটনার প্রতিবাদও করা যাবে না। করলেই দেশদ্রোহী আখ্যায়িত হয়ে জেলে যেতে হবে’।

অপর্ণা সেন একাধিকবার মেরুকরণের রাজনীতি নিয়ে গর্জে উঠেছেন। বহুবার তিনি প্রশ্ন তুলেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিংবা দেশের মুসলিমরাই কেন শুধু আ’ক্র’মণের শিকার হচ্ছে? শুধু তাই নয়,NRC, CAA-র বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও জানিয়েছেন তিনি। তিনি এমনকি অসহিষ্ণুতা নিয়েও নিজের মতামত তুলে ধরেছেন।

এদিন টুইটারে টুইট করে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করলেন অপর্ণা সেন। তিনি লিখেছেন, “দয়া করে কেউ দেশের কোনও ঘটনার প্রতিবাদ করবেন না। যদি প্রতিবাদ করেন তখনই আপনি হয় দেশদ্রোহী আর নয়তো আর্বান-নকশাল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেন

আবার পাকিস্তানের সমর্থক হিসেবেও প্রতিপন্ন হতে পারেন, নয়তো এও বলা হতে পারে যে, আপনি টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের প্রতিনিধি। নয়তো একজন সন্ত্রাসবাদী বা খালিস্তানি ও বলা হতে পারে। মোট কথা প্রতিবাদ করলেই যে কোনও মুহূর্তে আপনাকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। তাই সাবধান।”

অতীতেও একাধিক সময় দেখা গিয়েছে এবং বর্তমানেও সরকারের বিরুদ্ধে কেউ সরব হলেই প্রতিবাদকারীকে টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের প্রতিনিধি কিংবা দেশদ্রোহী হিসেবেই প্রতিপন্ন করেছেন বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা।

বাদ পড়েন নি দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্ররা বা দেশের কৃষক সম্প্রদায় । গণতান্ত্রিক আইন অন্য কথা বললেও বিজেপি মন্ত্রীদের মতে সরকারের বিরোধিতাকারি কে চীন অথবা পাকিস্তানে গিয়েই থাকা উচিত।

সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় অভিনেত্রী অপর্ণা সেন বিজেপির তীব্র ভর্ৎসনা করেই বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর জরুরি অবস্থাটাই ছিল গণতন্ত্রের এক কলঙ্কিত অধ্যায় কিন্তু গত কয়েক বছরে সে কলঙ্কিত অধ্যায় আরও ভয়াবহ।’