কাশ্মীরের আলাদা পতাকা না ফেরালে তেরঙ্গা কে সন্মান নয়, বিতর্কিত মন্তব্য মেহবুবা মুফতির

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ১৪ মাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এই প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করলেন। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তাঁর দাবি,বিজেপির ইস্তেহারের ভিত্তিতে নয়দেশ সংবিধানের ভিত্তিতে চলবে। তাঁর মতেজে সংবিধানে তিনি বিশ্বাস করতেন,তাকে অসম্মানিত করা হয়েছে।

ভোট চাইবার জন্য বিজেপির কাছে দেখানোর মতো কিছুই নেই বলেই ৩৭০ ধারা উত্থাপন করা হয়েছে। যতদিন না কাশ্মীরের পৃথক পতাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে, ততদিন জাতীয় পতাকাকে সম্মান করবেন না বলেও জানান মুফতি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাসারামের জনসভায় প্রচারে জন। সেখানেও ৩৭০ ধারাকেই অস্ত্র করেন তিনি। এদিন মুফতি বলেন,”ওরা বলেছিল আপনারা জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন।

আমরা ৩৭০ ধারা তুলে দিয়েছি। এবার ওরা বলছে, বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আজ প্রধানমন্ত্রী ৩৭০ ধারার উল্লেখ করে ভোট চেয়েছেন। দেশের সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার”।

মুফতি তাঁর নিজের ডেস্কে রাখা জম্মু ও কাশ্মীরের পতাকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানান,”এটাই আমাদের পতাকা”। তিনি বলেন,”আমাদের পতাকা ফিরে পেলে আমরা আবার তেরঙ্গাকে হাতে তুলে নেব”। তাঁর দাবি,”আমরা বাংলাদেশেরও পিছনে চলে গিয়েছি অর্থনীতির প্রশ্নে। বেকারত্ব হোক বা অন্য কোনও ইস্যু, ওরা সবেতেই ব্যর্থ।”।

শুক্রবার বিহারের জনসভায় মোদি বলেন,”সকলেই অপেক্ষায় ছিলেন কবে ৩৭০ ধারা উঠবে। কিন্তু কেউ কেউ বলছিলেন, ক্ষমতায় এলে ওই ধারা আবার ফিরিয়ে আনা হবে। তারপরেও তারা বিহারে ভোট চাওয়ার সাহস পায় কীভাবে? এটা বিহারের অপমান নয়? এই রাজ্য তাদের ছেলেমেয়েদের সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে।”

এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্য,”প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, সেখানেই মিথ্যা বলেন। বিহারবাসীকে মিথ্যা বলবেন না। গতবার নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২ কোটি চাকরির। তা কেন এখনও পূর্ণ হয়নি?”