CAT পরীক্ষায় ব্যর্থতা, চায়ের দোকান দিয়ে কোটিপতি চাওয়ালা

দেশের বিখ্যাত বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা করে মোটা মাইনের চাকরি পাওয়ার আশায় দিন গুনছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রফুল বিল্লোরে। বারবার CAT পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে সক্ষম হননি।

তাই মোটা মাইনের চাকরি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা ছেড়ে চা বিক্রি করতে মনোনিবেশ করলেন তিনি। আহমেদাবাদে এমবিএ পড়ার নাম করে পথের ধারে চা বিক্রি করতেন প্রফুল বিল্লোরে। বর্তমানে তিনি একজন সফল চা ব্যবসায়ী।

তাঁর দোকানের নাম এমবিএ চা’ওলা। একসময় যে স্কুলের করবেন বলে ঠিক করেছিলেন সেই স্কুলে ছাত্রদের মনোবল বাড়ানোর জন্য লেকচার দিতে যান তিনি।

খাতায়-কলমে কিংবা মার্কশিট এর ভিত্তিতে ব্যবসায়ী নন তিনি। পরিশ্রম করে নিজের ব্যবসা বাড়িয়ে তুলেছেন প্রোফুল। পরীক্ষা দিয়েও তিনবার ফেল করেছেন তিনি। বেকারত্ব আর হতাশার জালে পড়ে এমবিএ পড়ার ইচ্ছা ছেড়ে দেন তিনি।

এরপর ম্যাকডোনাল্ডের আউটলেটে কাজ করে জীবনে প্রথম উপার্জন করেন প্রফুল। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। অবশেষে বাবাকে মিথ্যে কথা বলে ৮০০০ টাকা নিয়ে চা বিক্রি সমস্ত সরঞ্জাম কিনে রাস্তায় রাস্তায় চা বিক্রি করতে শুরু করে দেন তিনি।

প্রথমদিকে গ্রাহক থাকতো না। অবশেষে গ্রাহকদের জোগাড় করার উদ্দেশ্যে নিজেই পৌঁছা যেতেন গ্রাহকের কাছে। অর্ডার নিয়ে চা বানিয়ে দিয়ে আসতেন তিনি।

ইংরেজি শেখা সুদর্শন চা ওয়ালার দিনের-পর-দিন কদর বাড়তে থাকে। তবে পাশের দোকানের মালিকরা সেখান থেকে তাকে উঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিত। এবার ক্রেতারাই চাওয়ালাকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খুঁজে বের করে।

আবার বাবাকে ব্যবসা বাড়ানোর কথা বলে ৫০,০০০টাকা নেন তিনি। তখনো তার বাবা জানে ছেলে এমবিএ পড়ছে। সবাই মনে করে যে এই চা ওয়ালা এম বি এ পাশ করার পর চা বিক্রি করছে।

কিন্তু ক্রেতাদের কাছে ব্যর্থতার গল্প বলে তিনি জানিয়ে দেন এমবিএ পাশ করতে পারেনি তিনি। বর্তমানে তার দোকানে কুড়ি জন কর্মচারী কাজ করে। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ছাত্রদের মনোবল বাড়াতে লেকচার দিতে যান এই চা ওয়ালা।