“আমি গাধা, বারবার ঠকে যাই”, উত্তর কাঁথির সভায় আক্ষেপের সুরে বললেন মমতা

দক্ষিণ কাঁথিতে সভা করার পর মুখ্যমন্ত্রীর সফরের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল উত্তর কাঁথি। উত্তর কাঁথির সভাতেও মুখ্যমন্ত্রীর আ-‘ক্র-‘ম-ণের অগ্রভাগে ছিল অধিকারী পরিবার।

অধিকারী পরিবারকে ক’টা’ক্ষ করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আ’ক্ষেপের সুরে বলেন, “আমি গাধার মতো সব মানুষকে বি’শ্বাস করে ঠ’কে যাই।” চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতার দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরে তিনি প্রায়ই আসবেন, কারও ক্ষ’ম’তা থাকলে সে আটকে দেখাক।

শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার পর ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে তাঁকে “বি-‘শ্বা’স’ঘা-‘তক” তকমা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রবিবারে অমিত শাহের সভায় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী।

সব দিক থেকে বিচার করলে দেখা যাবে, গোটা অধিকারী পরিবার বর্তমানে গেরুয়া শিবিরের নাম লিখিয়েছেন। দক্ষিণ কাঁথিতে সভা করার পর উত্তর কাঁথিতে গিয়ে জনসভায়, মুখ্যমন্ত্রীর আ-‘ক্র-‘ম-‘ণের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো অধিকারী পরিবার।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক স’ম্মান করতাম, ভালবাসতাম। বিশ্বাস ছিল। আমি যদিও সবাইকেই গা’ধার মতো বেশি বিশ্বাস করি। পড়ে ভুল বুঝতে পারি। আমি হয়তো ঠ’কে যাই, কিন্তু এতে বি’-শ্বা’স’ঘা-ত’ক’দের মু’খো’শ খুলে যায়।”

অধিকারী পরিবারের বিরু’দ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভি’যোগ তুললেন মমতা। তিনি বলেন, “গ’দ্দা’ররা গিয়েছে, ভাল করেছে। নাহলে আমরাই বের করে দিতাম। এখন আর কারও অনুমতি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে আসতে হবে না।”

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি সারাদিন মানুষের জন্য কাজ করি। মুখ্যমন্ত্রীর মতো কাজ করি না। চা’ক’রের মতো পরি’শ্রম করি। যাঁরা আমার নামে কু’ৎ’সা করে তাঁদের এগু’লি জানা উচিত।”

পরিবারের সমর্থন ছিল বলেই তিনি আজ মানুষের জন্য কাজ করতে পারছেন বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। একুশের বিধানসভা নি’র্বা’চনের প্রথম দফার শুরু হতে আর বেশি দিন বাকি নেই। তাই কিছুদিন পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছেন মমতা।