“মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়া কেউ রুখতে পারবে না”, বললেন কপিলমুনি আশ্রমের মহান্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক জীবনের লড়াই সংগ্রাম ছিল তার মূল মন্ত্র। নিজের মূলমন্ত্রকে পাথেয় করে রাজ্যের বিরোধী দলনেত্রী থেকে হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তার লক্ষ্য দিল্লির মসনদ।

আপাতত তিন দিনের জন্য গঙ্গাসাগর সফরে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করলেন আশ্রমের প্রধান জ্ঞানদাস মহান্ত। মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে তৃণমূল।

জাতীয় স্তরে সংগঠন বৃদ্ধিতে ইতিমধ্যেই জোর দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে কর্মসূচির ধরন পরিবর্তন করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যের চলছে সংগঠন বিস্তারের কাজ। তারি মাঝে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে, কপিলমুনির আশ্রমের মহান্তর কথা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

তিন তিনবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে পশ্চিমবঙ্গের মসনদ সামলানো মমতাকে এবার অনেকেই দেখতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রীর আসনে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মতে, জ্ঞানদাস মহান্তর এহেন মন্তব্য আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আশীর্বাদই। কপিলমুনির আশ্রম থেকে বেরিয়ে বিকেলের দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মেলার পবিত্রতা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নালিশের সুর শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে। তিনি বলেন, “এই মেলা কুম্ভ মেলার চেয়ে কোনও কম পবিত্র নয়। কথায় বলে – সব তীর্থ বারবার/ গঙ্গাসাগর একবার। আমরা বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছি, এই মেলাকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। একে দ্রুতই জাতীয় মেলা ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করি।”

মেলায় যাতায়াতের জন্য দরকার একটি ব্রিজের। সেই ব্রিজ এখনো পর্যন্ত নির্মিত না হওয়ার কারণে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “এই ব্রিজ করে দেওয়ার জন্যও বারবার কেন্দ্রকে বলা হয়েছে। কিন্তু তাতেও আমরা সাড়া পাইনি।

আমাদের কাজ আমরাই করব। আমাদের টাকাপয়সা হলে ব্রিজটা বানিয়ে দেব।” কপিল মুনির আশ্রম থেকে ভারত সেবাশ্রম সংঘে জন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পুজো দিয়ে সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। গঙ্গাসাগর এলাকার উপর প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।