“মোদিকে হঠানোই আমার লক্ষ্য”, অবিজেপি রাজ্য গুলিকে নিয়ে ইউনিয়ন গড়ার ডাক মমতার।

“মোদিকে হঠানোই আমার লক্ষ্য”, বুধবার নবান্নে এমনই এক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর দাবি, সারা দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবিজেপি রাজ্য গুলোকে নিয়ে মোদিকে হঠানোর উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন তৈরি হলো তাঁর লক্ষ। একইসঙ্গে এই সকল রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “দেশে অর্থনীতি ধ্বং’স করেছে বিজেপি সরকার। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প সবেতেই চরম দুর্দশা দেশে। একটি ইউ’নিয়ন তৈরি করে কে’ন্দ্রের বিরুদ্ধে একত্রে ল’ড়াই করতে হবে রাজ্যগুলিকে।” তবে এরপর লোকসভা নির্বাচনে কি মোদি বিরোধী হিসেবে প্রধান মুখ হতে চলেছেন মমতা? উঠছে প্রশ্ন।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপিকে একেবারে ধরা’শায়ী করে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তারপর থেকেই ভারতীয় রাজনীতিতে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন তিনি।

তবে এবার মোদি বিরো’ধী হিসেবে প্রধান মুখ হবেন কিনা, সেই নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।সদ্য মনোনীত দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে পরিকল্পনা স্পষ্ট করে জানানো হবে।

অন্যদিকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভ্যা’ক’সি’নে GST বসিয়ে জীবণ-ম’-র’ণের খেলা চলছে”। তাঁর দাবি, “পিএম কেয়ারস ফান্ডে কেন সবাইকে ভ্যা’ক’-সিন দেওয়া হল না?”

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নের বৈঠকে রাকেশ টি’কাইত দেখা করে। একই সঙ্গে আসেন কৃষক নেতাদের তিনজনের একটি প্রতিনিধি দল।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৃষক নেতারা জানান, “পুঁজিবাদী শক্তিকে জবাব দিয়েছে বাংলা। বছর ধরে দেশের উন্নয়ন থমকে রয়েছে। বিজেপিকে কড়া জবাব দিয়েছেন মমতা”।

তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরকার গঠনের জন্য অভিন’ন্দন জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলা যে পথে হাঁটবে, সেই পথ অনুসরণ করবে দেশ।”