মেদিনীপুর থেকে ভোটে দাঁড়াবেন মমতা, হলেন বিরোধীদের কটাক্ষের শিকার

পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নিজে মেদিনীপুর থেকে ভোটে দাঁড়াবেন।

ঠিক তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন বিরোধী দলগুলি। তাঁদের দাবি, ভবানীপুরে হারবেন জেনেই নন্দীগ্রামের “শরণ” নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার নন্দীগ্রামের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে,নন্দীগ্রামকে নিজের সবচেয়ে লাকি জায়গা বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নন্দীগ্রামের মানুষ ও সেখানকার জমি আন্দোলনের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের মাটি থেকেই ল’ড়বেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিজের সিদ্ধান্তকে “বিবেকের ডাক” বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”ভবানীপুর বড় বোন আর নন্দীগ্রাম মেজো। দুটো জায়গাই আমার খুব প্রিয়।”

মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের পর পশ্চিমবঙ্গের সহকারী পর্যবেক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইট করে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

টুইট করে তিনি লেখেন,”গত ১০ বছরের মধ্যে এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরের আসন ছেড়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ঘটনা প্রমাণ করছে যে তিনি রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি মানুষকে জানাবেন যে কেন নন্দীগ্রামের প্রতিবাদী কৃষকদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা আইপিএস সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলে নেওয়া হল?”

যাদবপুরের সিপিআইএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন,”ভবানীপুর থেকে হেরে যাওয়ার ভয়েই এই ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একসময় হলদিয়াকে ঘিরে নন্দীগ্রামে শিল্প গড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখেছিল মানুষ। কিন্তু, মমতা সেই স্বপ্ন ভেঙেছেন। আর এখন ভবানীপুর থেকে হেরে যাওয়ার ভয়ে অন্য কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চাইছেন।”

এ প্রসঙ্গে আব্দুল মান্নান বলেন,”একা শুভেন্দু যেভাবে মমতার মনে ভয় ধরিয়েছেন তাতেই এই অবস্থা। তবে এটা তো সবে শুরু।” প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান,”আসলে লোকসভার ফল দেখে চিন্তায় পড়েছেন মমতা।

কারণ ওই ফলাফলে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে নিজের আসনেই পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। বাধ্য হয়ে তাই গদি বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”