মমতার সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে, বললেন জেপি নাড্ডা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে ছুঁড়ে ফেলার সংকল্প গ্রহণ করলেন জেপি নাড্ডা। বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির বৈঠকে এমনই দাবি রাখলেন তিনি। এদিন তিনি বলেন,”২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে গত লোকসভার ৪০ শতাংশ ভোট ৫০ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়িতে বসিয়ে দেবে বাংলার জণগন।” একুশের বিধানসভা ভোট কে পাখির চোখ করে রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধী নেতৃত্ব।

এদিন ভার্চুয়াল সভায় জেপি নাড্ডা  বলেন, “মমতা সরকারকো উখারকে ফেক দেনা হ্যায়।” মঙ্গলবার দিন দলের নতুন কমিটির ঘোষণা করেন রাজ্য বিজেপি। সেই কমিটির প্রথম সভায় একেবারে প্রথমে বক্তৃতা দেন জগতপ্রকাশ নাড্ডা। এদিন তিনি কিছুটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কণ্ঠে কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন,”বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত থেকে তিন বছর ধরে বঞ্চিত, রাজ্য সরকার কিষাণদের পরিসংখ্যান বলছে না। যার ফলে বাংলার কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এভাবে নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষ হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমনকী পরিযায়ী শ্রমিকদেরও বঞ্চিত রেখেছে তাঁদের অধিকার থেকে। ট্রেন পর্যন্ত চালাতে দেয়নি এই রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিচ্ছে মমতার সরকার।”

এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠককে ক’রোনা আবহের রেশন দুর্নীতির কথা তুলে ধরেছেন তিনি। তিনি বলেন,”বাংলায় যখন রেশন থেকে লুঠপাট চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব, তখন মানুষের পাশে থেকে সাহায্য করেছে বিজেপি।

গরীবের খাবার লুঠ করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি খাবার থেকে মাস্ক সব দিয়েছে সাধারণ মানুষকে। কিছু ভাল প্রকল্প করতে গিয়ে বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। তিনি বলছেন, হবে না, হবে না, হবে না। কেন হবে না? সব হবে।

এমনকী ক’রো’না নিয়ে দিল্লির দলকে কাজ করতে দেয়নি। ক’রো’না যো’দ্ধা”দের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছেন মোদীজি। তাও ঘোষণা করেনি মমতার সরকার।”

এদিন বিশ্বভারতী নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নাড্ডা। রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব কায়েম করতে উঠে পড়ে লেগেছেন তিনি। তিনি বলেন,”গ্রামে, বুথে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ করতে হবে।

সর্বস্তরে সংগঠন মজবুত করতে হবে। সর্ব শক্তি দিয়ে কাজ করুন। ২০১১-তে ২ শতাংশ ভোট ২০১৪ তে ২টি আসন, ১৮ শতাংশ ভোটে গিয়ে দাড়ায়। ২০১৯-এ ৪০ শতাংশের ভোটকে এবার ৫০ শতাংশ করতে হবে। এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে। তৃণমূল সরকার কো উখারকে ফেক দেনা হ্যায়।”