“দ্রুত লোকাল ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করুন বাংলায়”, রেলমন্ত্রীকে চিঠি স্বপন দাসগুপ্তের

রেল কর্তৃপক্ষ রাজ্য জুড়ে রেল পরিষেবা প্রদান করতে প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত সম্মতি না মেলায় চালু করা হচ্ছেনা ট্রেন পরিষেবা। অন্যদিকে রেল পরিষেবা পাওয়ার জন্য আকুল হয়ে উঠেছে জনসাধারণ।

স্পেশাল ট্রেন করলেও তাতে উঠতে চেয়ে স্টেশনে স্টেশনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে সাধারণ মানুষ। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে বাংলা জুড়ে লোকাল রেল পরিষেবা চালু করার জন্য রেলমন্ত্রী কে চিঠি দিলেন রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত।

সংবাদসূত্র মারফত খবর, বিজেপি সংসদ স্বপন দাশগুপ্ত রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে লোকাল রেল পরিষেবা চালু করার জন্য চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠিতে বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, বাংলায় যত দ্রুত সম্ভব লোকাল রেল পরিষেবা চালু করতে রেলমন্ত্রক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

লোকাল রেল পরিষেবা চালু হলেও মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা এবং সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছেন তিনি।

২১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হলেই রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কো’ভি’ড পরিস্থিতির জেরেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত। শ্রমিক স্পেশ্যাল ও আনলক পর্বে দূরপাল্লার বিশেষ ট্রেন চালু করা হলেও এখনো পর্যন্ত লোকাল ট্রেনের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না।

শুধুমাত্র কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন চলছে। কিন্তু তাতে সাধারণ যাত্রীদের ওঠা একেবারেই নিষিদ্ধ। ফোনে কর্মস্থল কিংবা গন্তব্যে পৌঁছাতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। নিয়ম বিধি না মেনে কেউ কেউ ট্রেনে উঠে পড়ছেন। এই নিয়ে হুগলির একাধিক স্টেশনে বারবার বিক্ষোভে শামিল হয়েছে ডেইলি প্যাসেঞ্জাররা।

সোমবার সকালে লিলুয়া স্টেশনে হাওড়াগামী একটি ট্রেনে চেকিং চালানো হয়। তাদের মধ্যে দেখা যায় বহু যাত্রী রয়েছেন যারা রেলের কর্মী নন। ট্রেন থেকে তাদের নামিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ফাইন করা হয়।

ফলস্বরূপ লিলুয়া স্টেশন চত্বরে দন্ড বেঁধে যায়। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান বলেন, “রাজ্যের অনুমতি না পেলে ট্রেন চালানো হবে না। এমনকি অ-রেলকর্মীদের ট্রেনে চড়তে দেওয়া হবে না।” রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যসভার একবার নির্দেশ দিলেই রেল পরিষেবা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে বিজেপি সাংসদের এই বিশেষ চিঠিকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন সকলে।