মৃ”ত্যুর আগে শেষবারের মতো পবনদ্বীপের সঙ্গে গান গেয়ে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ মাতিয়েছিলেন লতাজি, ভাইরাল ভিডিও

কিংবদন্তী সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ভারতবর্ষে কার অবদান সবচেয়ে বেশি , এই প্রশ্ন নিয়ে ১৯৮৬ সালে,

একটি নমুনা সমীক্ষা করা হয়েছিলো ‘ ইন্ডিয়া টু – ডে ‘ পত্রিকার পক্ষ থেকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাঠক – পাঠিকাদের ভোটের ফলে দেখা গেছে,

লতা মঙ্গেশকরের নাম সবার শীর্ষে। সুর ও সঙ্গীতের ভুবনে লতা মঙ্গেশকর এক আশ্চর্য বিস্ময়। লতা মঙ্গেশকর ১৯২৯ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর,

তৎকালীন ইন্দোর রাজ্যের রাজধানী ইন্দোর জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি পরলোকে গমন করেন ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে। সম্প্রতি ইউটিউব থেকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে পবনদ্বীপকে গান গাইতে দেখা গেল সংগীত সম্রাজ্ঞী শ্রদ্ধেয় লতা মঙ্গেশকরের সাথে। পবনদ্বীপের ব্যাপারেও আলাদা করে কিছু বলার নেই। ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ থেকে বিজেতা হয়ে সকলের মন জিতে নিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের ছেলে পবনদ্বীপ রাজন। তার যেকোনো ধরনের গান শোনার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকেন তার ভক্তগণেরা।

ভিডিও শুরু হওয়ার প্রথমেই লতা মঙ্গেশকরের গলায় একটি অসাধারণ গান শোনা গেল। শ্রদ্ধেয় লতাজির গাওয়া খুবই বিখ্যাত একটি গান দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে সিনেমা থেকে “মেরে খাবো মে জো আয়ে”। লতাজির গানের ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার সাধারণ আমাদের নেই। লতাজির গাওয়া প্রত্যেকটি গানই আমাদের মনে চিরজীবী হয়ে থেকে যাবে। ভিডিওটি দেখে যতদূর বোঝা গেছে কোন একটি অনুষ্ঠানেই লতাজি তার এই গান গেয়ে শোনাচ্ছিলেন। এরপর উত্তরাখণ্ডের ছেলে পবনদ্বীপের গলায় একটি গান শোনা গেল।

পবনদ্বীপকে গাইতে শোনা গেল তার নিজেরই গাওয়া গান “ও সায়নী ও মিতয়া”। ভিডিওটি স্টুডিওতে পবনদ্বীপের গান রেকর্ড করার মুহূর্তই তুলে ধরা হয়েছে। পবনদ্বীপের গানের গলাও যে কতটা অসাধারণ তার প্রত্যেকবার প্রমাণ আমরা ইন্ডিয়ান আইডল ১২-এর মঞ্চে পেয়েছি। নিজের অসাধারণ গানের গলা দিয়ে প্রতিবার বিচারক এবং দর্শকদের মুগ্ধ করে দিয়েছিল পবনদ্বীপ। তবে সবার শেষে এখানে কার গানের গলা সবচেয়ে বেশি ভালো এটা বলা খুবই কঠিন। কারণ লতা মঙ্গেশকরের গানের সাথে কারোর গানেরই তুলনা হয় না। মাত্র কিছু ঘন্টা আগে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও এই মুহূর্তে অসংখ্য মানুষ এই দেখে নিয়েছেন। যার ফলে ভিডিওটি খুব পরিমাণে ছড়িয়েছে চারিদিকে।