শুভেন্দুকে মাটিতে পিসে দেব, নির্বাচনী সভায় গিয়ে বললেন কৌশানী মুখার্জি, তুমুল ভাইরাল ভিডিও

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে নানা রকম ভিডিও ভাইরাল হয় প্রতিদিন। সেখানে নাচ-গান প্রভৃতি অ্যা’ক্টিভিটির সাথে

মার্শাল আর্ট এছাড়াও নানা রকম অদ্ভুত ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতে দেখি আমরা। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বহু মানুষ

তাদের প্রতিভাকে বিশ্বের সামনে প্রদর্শন করতে পারছেন। দেশের কোনায় কোনায় এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাদের প্রতিভা থাকলেও নেই সুযোগ।

তবে সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে তারা নানারকমভাবে বিশ্বের সামনে নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শন করতে পারছেন।

প্রতিভা প্রদর্শনের দৌড়ে কিশোর-কিশোরী যুবক-যুবতীদের সাথে বয়স্করাও পিছিয়ে নেই। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছিল সত্ত’রোর্ধ্ব বৃ’দ্ধার শা’স্ত্রীয় সংগীতে নৃত্য পরিবেশনা যা সবাইকে করেছিল মু’গ্ধ।

সম্প্রতি ভোটের বাজার নিয়ে গরম হয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ। তৃণমূল বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস এর তরজায় মত্ত হয়ে আছে গোটা বাংলা।

একের পর এক নেতা তৃণমূল থেকে অন্য দলে চলে গেলেও হার মানতে রাজি নয় তারা এত তাড়াতাড়ি। একের পর এক নতুন চমকে প্রতিবারই বাংলাকে চমকে দিচ্ছে তৃণমূল।

বিজেপি ও বসে নেই। আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে দল বাড়াচ্ছে তারা। দু’পক্ষেই দলে দলে তারকারা এসে যোগ দিচ্ছেন।

তারকাদের তারকা খচিত আলোয় চকমক করছে ভো’টের বাজার। অভিনেত্রীকে কৌশানি কে তো আমরা সকলেই চিনি।

“পারবনা আমি ছাড়তে তোকে” সিনেমা দিয়ে তার অভিষেক ঘটে টলিউডে। এই সিনেমার মধ্যে দিয়েই তিনি অত্যন্ত জন’প্রিয়তা লাভ করেন।

তার এক একটা সিনেমা হয় সুপারহিট। কিন্তু এবারে শুধু অভিনয় নয়, রাজ’নীতিতে তিনি ‘পা’ রাখলেন। তৃণমূল দলে যোগ দিয়ে জমিয়ে করছেন ভোটের প্রচার।

ভোটের সময় প্রায়ই সব জায়গাতেই সব দলের অধিবেশন চলছে। তৃণমূলের বাংলা নানা জায়গায় তাদের বিভিন্ন সভা করে বেড়াচ্ছে।

এইরকম একটি সভাতেই ঘটে গেল দারুন ঘটনা। কৌশানি নিজেই মধ্যে তার বক্তৃতার মাধ্যমে বিজেপিকে পুরো ধুয়ে দিলেন।

তিনি এও বলেন শুভেন্দুকে পিসে দেওয়ার সময় এসেছে। তার মতো গ’দ্দা’রকে হারানো সময় এসেছে। তার কথায় দর্শক তুমুল করতালি তে কাপিয়ে দিলো মঞ্চ।

কৌশানির বক্তৃতায় মেতে উঠেছেন সবাই। ভিডিওটি পো’স্ট করা হয়েছে “মুনির টেক বাংলা” নামে একটি অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে।

হাজার হাজার মানুষ ভিডিওটি লাই’ক করেছে। ক’মে’ন্ট বক্সে নানাজনের নানা মত। কেউ কেউ বলছেন তারকাদের প্রার্থী হতে দেওয়া উচিত নয়

কারণ তারা কেউই সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যা এতদিন জানতে আগ্রহী ছিলেন না, আবার কেউ কেউ বলেছেন নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত।

অনেকেই বলেছেন কৌশানি নিজেকে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে তুলনা করা উচিত না, কারণ শুভেন্দু অধিকারী অনেকদিনই রাজনীতির মঞ্চে রয়েছেন,

কিন্তু কৌশানি একদমই নবাগত। কিন্তু অনেকেই কৌশানিকেই সমর্থন করছেন। সব মিলিয়ে কৌশানি করে দিচ্ছেন বা’জি’মা’ত।

তৃণমূল বিজেপির তারকাখচিত রণক্ষেত্র জমে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের ভোট। উভয়পক্ষের তরজা নিয়ে সরগরম গোটা দেশ।

প্রত্যেকেই অপেক্ষায় রয়েছেন শেষ পর্যন্ত কি হয় তা জানবার জন্য, তবে শেষ অ’-‘স্ত্র রয়েছে সাধারণ মানুষের হাতে। শেষ পর্যন্ত সময়ই বলবে ফলাফল।