ভোটে জেতার পর ‘খেলা হবে’ গানে দুর্দান্ত নেচে স্টেজ কাঁপাল ৪ যুবতী, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও

ভোট নিয়ে গরম পশ্চিমবঙ্গ। তৃণমূল বিজেপির মুহুর্মুহু দ্ব’ন্দ্বে আ’গুন ছুটছে চারদিকে। বিশেষত লোকসভা ভোটের পরে বিজেপি আগের থেকে

অনেক ভালো ফল করার তারা অনেক বেশি পরিশ্রম করতে থাকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আসনটি লাভ করার জন্য। এদিকে তৃণমূলও বসে ছিল না,

তারাও ক্রমাগত চেষ্টা করে গেছে শা’সক হিসেবে থাকার জন্য। তাদের নানা রকম প্রকল্প যেমন “স্বাস্থ্যসাথী”, “দুয়ারে সরকার”, “কন্যাশ্রী”

নানা প্রকল্প গুলি মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের অনেক উপকার করেছে। ওদিকে প্রধানমন্ত্রীর নানা প্রকল্প গুলি ও জনসাধারণের মনে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছিল।

ভোটের সময় একের পর এক তৃণমূল থেকে নেতারা যেমন গেছেন বিজেপিতে তিনি বিজেপি থেকে নেতারাও এসেছেন তৃণমূলে।

এদিকে তারকাদের সমারোহে হীরকখচিত হয়ে উঠেছিল দুই দলই। একের পর এক টুইস্ট দিয়ে তারা অবাক করেছিল পশ্চিমবঙ্গবাসীকে।

কিন্তু দু’দলের কুরুক্ষেত্রের মহাযুদ্ধের পর শেষ হাসি হাসলো বাংলার রয়েল বেঙ্গল টাইগার মমতা ব্যানার্জি। ভোট নিয়ে দুই দলের মধ্যেই ছিল চরম উত্তেজনা,

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাঙ্গা পায়ে সবথেকে বড় গোলটি করে ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে গেলেন মমতা ব্যানার্জি। তার এই জয় সত্যিই ঐতিহাসিক জয়।

ভোটের আগে তার সমস্ত বড় বড় মন্ত্রিরা বিশ্বাসঘাতকতা করে চলে গেছিলেন অন্য দলে, কিন্তু একটা কথাই আছে “ওস্তাদের মার শেষ রাতে”।

মমতা ব্যানার্জি একাই তার দলের লোকেদের নেতৃত্ব দিয়ে সারা বাংলায় খুঁটিয়ে দিলেন ঘাসফুল। এই নির্বাচনে যার নাম না বললেই নয় তিনি হলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।

তৃণমূলের প্রথম থেকেই ইয়ং জেনারেশনের কাছে তিনি এক অনুপ্রাণিত ব্যক্তিত্ব, তার তর্ক বিতর্ক সভা তার যুক্তিবাদী কথাগুলি সবসময়ই মানুষের কাছে ছিল অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য।

তারিখ সুর দেওয়া তৃণমূলের এবারের থিম সং টি ছিল “খেলা হবে” এর মধ্যেই জনপ্রিয় হয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যের গান “খেলা হবে”।

শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিভিন্ন রাজ্যের নিউজ চ্যানেলগুলো এই গানটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। গানটি সারা ভারতবর্ষে হয়ে গেছে বিখ্যাত।

কিন্তু গানটি তৃণমূলের থিম সং হলেও অনেকেই এটিকে অত্যন্ত বাজে ভাবে ব্যবহার করেছেন। বিশেষ করে কোন কোন অনুষ্ঠানে

অশ্লীলভাবে এই গানটির প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে অত্যন্ত কুরুচিকর পোশাকে এই গানটিতে পারফর্ম করতে দেখা গেছে অনেককে।

সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে আমরা যেন সেই দৃশ্যটি পুনরায় দেখতে পেলাম, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কোন এক স্থানে কোন একটি কারণ উপলক্ষে অনুষ্ঠান হচ্ছে।

কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে মঞ্চের উপর এই গানটিতে কিছু যুবতী অত্যন্ত কুরুচিকর ও অশ্লীল বস্ত্র পরিধান করে পারফর্ম করছেন।

তাদের পারফরম্যান্স দর্শকদের ভাল লাগল তাদের বস্ত্র নিয়ে সমালোচনায় মেতে উঠেছেন সবাই। বিশেষ করে প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য

এরকম কুরুচিকর বস্ত্র পরিধান করার কোন প্রয়োজন নেই বলেই কটাক্ষ করেছেন তারা। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েগেছে ভাইরাল।

ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে “সাহেব বিশ্বাস” নামে একটি অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে। অনেক মানুষ ভিডিওটি লাইক করেছে।

কমেন্ট বক্সে নানারকম কমেন্টে ভরে গেছে। প্রত্যেকটি মানুষ তাদের পারফরমেন্সের প্রশংসা করলেও তাদের পোশাক কে মেনে নিতে পারেননি অনেকেই।

তাদের বক্তব্য প্রতিভা প্রদর্শন করার জন্য স্বল্প বসনে আকর্ষণীয় কিছুর প্রয়োজন হয় না। ভিডিওটি চারিদিকে হয়ে গেছে ভাইরাল।

তৃণমূলের এই গানটি সারা ভারতবর্ষে হয়ে গেছে বিখ্যাত। এমনকি অন্যান্য রাজ্যেও এই গানটির সাথে নেচে চলেছেন মানুষ।

বিশেষ করে তৃণমূলের এই বিপুল জয়ের পর ছাড়া ভারতবর্ষজুড়ে মানুষ মেতে উঠেছেন। মমতা ব্যানার্জির বিপুল জয় তার মতো ব্যক্তিত্ব সত্যিই ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিরল।

এইভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বহু অনামী প্রতিভাবান শিল্পী তাদের প্রতিভা বিশ্বের সামনে পরিবেশন করতে পারছেন, তারা তাদের যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া এভাবেই পৃথিবীর কোনায় কোনায় থাকা প্রতিভাবান ব্যক্তিদের সকলের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্রচেষ্টাকে জানাই কুর্নিশ।

শুধু তাই নয় এছাড়া মজার হাসির ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা যায় প্রায় সময়। সোশ্যাল মিডিয়া জড়িয়ে আছে আমাদের জীবনের সব জায়গায়।

সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের অজানাকে জানতে সাহায্য করে। সোশ্যাল মিডিয়াকে কুর্নিশ জানাই তার এই কাজের জন্য।