কানাইহার নাগরিকত্ব কাড়ার দাবিতে মামলা আদালতে, মামলাকারীকেই দিতে হলো ২৫হাজার টাকা জরিমানা

বারবার দে’শদ্রো’হিতার অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিহারের সিপিআই নেতা কানাইয়া কুমারের বি’রুদ্ধে। শাসকদল একাধিকবার তাকে দেশবিরোধী বলে একাধিকবার আঙ্গুল তুলেছে তার দিকে।

বহুবার দেশদ্রো’হীতার মামলাও রজু আদালতে তার বি’রুদ্ধে। কিন্তু তাতেই থেমে থাকেননি কানাইয়া কুমার সমস্ত ষড়যন্ত্রের ভীত কে পিছনে ফেলে সরকারের বি’রুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন তিনি।

তবে এবারের ঘটনা সম্পূর্ণ অন্য। সম্প্রতি এলাহাবাদ কোর্টে কয়েকজন কানাইয়া কুমারের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার দাবিতে মামলা দায়ের করেন। তবে নিজের জালে নিজেই জড়িয়ে পড়েন মামলাকারী। পাল্টা বিপাকে পড়েন তিনি। তার আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও হয় মামলাকারীর।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি কানাইয়া কুমারের বি’রুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বারানসি এক বাসিন্দা নাগেশ্বর মিশ্র। তারা আবেদন ছিল কানাইয়া কুমারের নাগরিকত্ব বাতিল করুক আদালত। নাগেশ্বর মিশ্র স্বপক্ষে জানিয়েছিলেন, “৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেশ বিরোধী স্লোগান দিয়েছিলেন কানহাইয়া কুমার।

যার ফলে ওই ছাত্র নেতার বি’রুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও চলছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিল করছে না। কানহাইয়ার মত লোক ও তাঁর দলবল পাকিস্তানের উস্কানিতে দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত লোকদের স্বাধীনতা সংগ্রামী আখ্যা দেয়।

এই ধরনের লোক দেশের শান্তি নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে। যদিও আদালত তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, ফৌজদারি মামলার প্রেক্ষিতে কোন ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া যায় না”।

কিন্তু ঘুরিয়ে তার মামলা তার ওপরে ভারী পড়ে যায়। বিচারপতি শশীকান্ত গুপ্ত এবং শামীম আহমেদের ডিভিশন ব্রাঞ্চে ওঠে মামলাটি। এইদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানিয়েছেন,ভারতীয় সংবিধানের বিন্দুমাত্র অধ্যায়ন না করে নোংরা পাবলিসিটির জন্য এই মামলা করা হয়েছে।

এই ধরনের মামলা আইনি প্রক্রিয়ার দুর্ব্যবহার”। তারপরের সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হয় কানাইয়া কুমার কে। অপরদিকে আদালতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় যে, আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করা ও নোংরা প্রচারের সুবিধা নিতে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তার জন্য মামলাকারীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে এই জরিমানার টাকা আদায়ের কথা বলেছেন হাইকোর্ট।