ভারতের গর্ব! বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে বঙ্গ সন্তান

বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় রয়েছে বাঙালির নাম। ইনি নদীয়ার কৃষ্ণনগর গভমেন্ট কলেজের অধ্যাপক কালিদাস দাস। ন্যানো ফ্লুইড উপরে কাজ করে বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীর পালক জুড়েছে তাঁর মুকুটে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয় ডক্টর কালিদাস দাসের ন্যানো ফ্লুইড এর ইউটিলিটি সম্পর্কিত গবেষণা। যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে।

ন্যানো ফ্লুইড এর ওপর গবেষণা করে বিশ্বের দুই নম্বর বিজ্ঞানীদের তালিকায় নিজের নাম তুলে নিয়েছেন কৃষ্ণ নগর গভর্মেন্ট কলেজের অধ্যাপক কালিদাস দাস। ২০২০ সালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ১ লক্ষ ৫৯ হাজার বিজ্ঞানী স্থান পেয়েছে।

সেই সেরার তালিকায় রয়েছে প্রায় ১৪৯২ জন ভারতীয়। কালিদাস দাসের গবেষণা, মানব জীবন এবং শিল্পে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে। বিজ্ঞানীর মতে চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহার করলে খুলে যেতে পারে একাধিক বন্ধ দুয়ার।

ন্যানো ফ্লুইড আসলে এক প্রকার তরল পদার্থ। যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে উপযুক্ত কুলেন্ট তৈরিতে সাহায্য করে। বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেভেলে ব্যাপক প্রসার ঘটেছে যেমন গাড়ি, মোবাইল ,কম্পিউটার।

সবেতেই এর ব্যবহার হওয়ার ফলে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল , কম্পিউটার চালানো হলেও গরম হবে না। এক্ষেত্রে ন্যানো ফ্লুইড চিপ আকারে থাকবে। এই চিপ থাকলে সহজে ঠান্ডা হয়ে যাবে কম্পিউটার ল্যাপটপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।

নদিয়ার ধানতলা থানার এড়ুলির কৃষক পরিবারে জন্ম কালীদাস দাসের। সরিষাডাঙা শ্যামাপ্রসাদ হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। তারপর মাস্টার্স। ফ্লুইড ডায়নমিকসের উপর পিএইচডি করেন।

এরপর চাকদহের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। কয়েক বছর পর কল্যাণীর এক কলেজ দিয়েই অধ্যাপনায় হাতেখড়ি। ২০১৪ সালে কোচবিহারের আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল কলেজে অধ্যাপনা করতেন। ২০১৮ সাল থেকে কৃষ্ণনগর গর্ভমেন্ট কলেজে অধ্যাপনা করছেন তিনি।

পড়ুয়াদের পড়াশোনা, কলেজের অন্যান্য দায়দায়িত্ব সামলেই চালিয়ে যান গবেষণা। কলেজ শেষ হওয়ার পর সেখানে বসেই গবেষণার নেশায় বুঁদ হয়ে যেতেন বলেই জানান অধ্যাপক। তাঁর সাফল্যে বেজায় খুশি টিচার কাউন্সিল অফ কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের সম্পাদক পিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যাপক কৃষ্ণদাস দাসের জন্য গর্বিত বলেই জানান তিনি।