পঞ্চায়েতে মানুষকে ভোট না দিতে দেওয়ার, তার প্রভাব পড়ছে লোকসভা নির্বাচনে, স্বীকার তৃণমূল জেলা সভাপতির

ঊনিশের লোকসভা ভোটে সারা উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিপুল ভোটে পরাজয় হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই গ্লানি আজও মোছেনি। পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে গিয়ে যে ছা’প্পা ভোট চলে তাই নিয়ে বিরোধীরা বারেবারে সরব হয়।

এবার উনিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজয় নিয়ে শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুললেন কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। কোচবিহারের গোপালপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন,”পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোর করে ভোট করানোর জন্যই লোকসভায় হেরেছি”।

১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে কোচবিহার জেলার প্রতিটি গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের জয় জয়াকার ছিল লক্ষণীয়। তবে নির্বাচনের সময়ে কোচবিহারের প্রতিটি জায়গায় জায়গায় যে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছিল তাও নজরে এসেছে সাধারণ মানুষের। সংবাদ শিরোনামে প্রায় দিনই সে ঘটনার কথা উল্লেখ থাকতো। বিরোধীদের দাবি ছিল, পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক ছাপ্পা ভোট নেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হেরে যাওয়ার কারণ হিসেবে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ছাপ্পা ভোট কে দায়ী করেছেন অনেকেই। এমনকি অনেকেরই দাবি,পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের পছন্দমতো প্রার্থীকে বেছে নিয়ে ভোট দিতে না পারার ক্ষোভ উগরে দিয়েছে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে।

এই নিয়ে যদিও শাসকদল চুপ ছিল, একইসঙ্গে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেও গিয়েছিল। কিন্তু এদিন কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির গলায় সেই অভিযোগ স্পষ্ট।

এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন,”এটা আমাদের দলের ভেতরের বিষয়। কে বা কারা ভিডিয়োটি তুলে ছেড়ে দিয়েছে, সে বিষয়ে আমি কোনও রকম মন্তব্য করতে চাই না।” তবে পঞ্চায়েত ভোটে ছাপ্পা ভোট নিয়ে যে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে সেই কথা স্বীকার করে ফেলেন তিনি।