বাংলা থেকে অলক্ষ্মী বিদায় করে লক্ষ্মী ফেরাতে হবে, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন ইভিনেতা হিরণ

আবারও বিজেপিতে তারকা যোগ। এবার বিজেপিতে যোগদান করলেন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার স্বরা’ষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাকদ্বীপের সভায় পদ্মফুলে যোগদান করলেন অভিনেতা হিরণ চ্যাটার্জী।

বাংলায় লক্ষ্মী ফিরিয়ে আনতে হবে। অল’ক্ষ্মীর প্রভাব পড়েছে। সেই অলক্ষ্মীকে দূর করে ল’ক্ষ্মী আনাই তাঁর মূল লক্ষ্য। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য অভিনেতা হিরণের।

মুড়ি-মুড়কি’র মতো তার’কারা রাজনীতির ময়দানে প’দা’র্পণ করছেন। রুদ্রনীল, যশ, সৌমিলি, পাপিয়া অধিকারীর পর আবারও বিজেপিতে তারকা যোগ। এবার হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

আজ কাকদ্বীপের সভায় বিজেপিতে যোগদান করবেন হিরণ। এবার ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে অভিনেতা হিরণ। কাকদ্বীপের সভায়, অমিত শাহর উপস্থিতিতে দলবদল করতে চলেছেন তিনি। যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন এই অভিনেতা।

এতদিন সরকার পক্ষেই ছিলেন। কখনও কখনও ভোটের প্রচারে, কখনও আবার অনুষ্ঠান মঞ্চে, নেত্রীর পাশাপাশিই চো’খে পড়েছেন অভিনেতা। তবে এবার দলব’দল। নামখানার সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় আজই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন তিনি।

অভিনেতা জানিয়েছেন ‘অল’ক্ষ্মী বি’দায়ই লক্ষ্য’, বাংলায় লক্ষ্মী ফেরাতে চান বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বলেন, বাংলায় কর্ম’সংস্থান নেই, বাংলার যুবরা বাইরে চলে যাচ্ছে। তাঁদের ফেরাতে হবে, বাংলায় যে অল’ক্ষ্মীর প্রভাব তা কাটিয়ে লক্ষ্মী ফিরিয়ে আনতে হবে।’

এই সিদ্ধান্তের কারণ কী? এই প্রশ্নে হিরণ জানান, আমি সাধারণ ঘরের ছেলে। সাধারমের দুঃ’খ ক’ষ্ট বুঝি। আর রাজনীতি সমাজ এবং সিস্টেম পরিবর্তনের বিরাট বড় হাতিয়ার। হাতে ক্ষ’মতা না থাকলে ক্ষ’মতার অ’প’প্রয়োগ আটকানো যাবে না।’

তিনি আরও বলেন ‘২০১৪-তে সেই স্ব’প্ন নিয়েই একটা দলে যোগ দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম অনেক কিছু হবে। বাংলার পরিবর্তন হবে, কিন্তু রাস্তায় শুধু নীল-সাদা রং ছাড়া আর কিছুই হয়নি।

হতাশ হয়েছি, এরপর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ জুড়ে যে ক’র্ময’জ্ঞ শুরু হয়েছে তাতেই যোগ দিতে যাচ্ছি। উন্নয়নের জন্য সর্বভারতীয় দলকেই ক্ষ’ম’তায় চাই।’