পড়াশুনার খরচ চালাতে রাস্তার ধারে বিক্রি করত ফুচকা! NEET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাবার মুখে হাসি ফোটাল ছেলে

আমাদের অজুহাতের শেষ নেই, এটা সম্ভব নয় কারণ এই হয়েছে, এটি হবে না কারণ ওটা নেই। অজুহাতের বুকনি ঝেড়ে আমরা পিঠ বাঁচানোর পথ খুঁজি।

কিন্তু এটা ভুলে যাওয়া চলবে না যে ইচ্ছে থাকলে উপায় মিলবেই। যদি লক্ষ্য স্থির থাকে তবে এগিয়ে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।

আর তার‌ই নজির মিলল ফের একবার স্যোশাল মিডিয়ার দৌলতে। বাবা ফুচকা বিক্রি করেন। দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী। তবে পড়াশোনা করার পয়সা কম,

হতে দেননি বাবা। আর তার‌ই প্রতিদান দিতে আপ্রাণ পড়াশোনা করে নিট পরীক্ষায় চমকপ্রদ রেজাল্ট করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে অল্পেশ। অল্পেশ কুমার রাঠোর, গুজরাটের আরাবল্লি জেলার বাসিন্দা। পড়াশোনায় বরাবর‌ই ভালো অল্পেশ। বাবাকে ফুচকার মশলা তৈরিতে সাহায্য করত সে। প্লেট পরিষ্কার করে দিত। তৎসত্ত্বেও মাধ্যমিকে ৯৩% নম্বর পেয়ে পাশ করেছিল সে। নিট পরীক্ষায় পেয়েছে ৭০০ তে ৬১৩ নম্বর। ভবিষ্যতে ডাক্তারির উচ্চশিক্ষায় কীভাবে এগোতে চায় সেবিষয়ে প্রশ্ন করলে অল্পেশ জানায়, “আমি কার্ডিওলজিতে বা নিউরোলজিতে কেরিয়ার গড়তে চাই।” সে আর‌ও বলে, “আমার শিক্ষক রাজু প্যাটেল এবং তাঁর স্ত্রী আমাকে আমার কেরিয়ারের বিষয়ে অনেক বিকল্পের খোঁজ দিয়েছেন।

তবে, আমি প্রথম থেকেই মেডিসিনের সাথে যুক্ত হতে চেয়েছি। কারণ আমার বাবা দৃষ্টিশক্তি হারানোর সাথে লড়াই করছেন। এরপরে আমার লক্ষ্য ছিল এমবিবিএস-এর প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য।” অল্পেশের বাবার মাসে কমবেশী হাজার ১৫ রোজগার। যেমন টিউশন দেওয়ার কথা তেমন দিতে পারেনি ছেলেকে। তবুও এত ভালো ফল করেছে ছেলে। জেনে গর্বে বুক ফুলে উঠছে তাঁর বাবা মায়ের। স্যোশাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছে অল্পেশের মেধার কথা। একটি ইউটিউব ভিডিওতে অল্পেশকে বলতে শোনা যায়, “আমার মতো দরিদ্র ছাত্রদের জন্য, শিক্ষা হল নিজেদের এবং তাদের পরিবারকে দারিদ্রতা থেকে বের করে আনার একটি অস্ত্র। আমি রোজগার শুরু করলে মা-বাবাকে ভালোভাবে রাখতে পারব। তাঁদের অনেক কিছু প্রাপ্য রয়েছে।