লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নিলেন দিলীপ ঘোষের পরিবার

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চালু করার বিষয়টি নিয়ে বারবার কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। ওই কার্ডে নাকি আদৌ কোন পরিষেবা মিলবে না বলেই দাবি তাঁর। অথচ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সংগ্রহ করতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষের ভাইয়ের স্ত্রী-সহ পরিবারের বেশ কিছু জন সদস্য। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের উপর কটাক্ষের তীর ছুড়েছে তৃণমূল।

ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের আদি বাড়ি। তাঁর মা ভাই-সহ পরিবারের সদস্যরা সেখানেই বসবাস করছে। দিলীপ ঘোষের ভাই হীরক ঘোষ গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি।

খুড়তুতো ভাই সুকেশ ঘোষ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি। তাঁদের গলাতেও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনেক কথাই শোনা গেছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন তাঁরা।

বর্তমানে অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তোলা হচ্ছে। আর সেখানেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন হীরক ঘোষের স্ত্রী-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন।

রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্তের পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর লাইনে দাড়াতে দেখে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দিলীপ ঘোষকেও আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।

হীরক ঘোষ জানান,তাঁর স্ত্রী ও বাকি সদস্যরা কবে গিয়েছিলেন সেকথা তিনি জনানেনই না। তবে এই নিয়ে সুকেশ ঘোষের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কটাক্ষ করে বলেন,”তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “দিলীপ ঘোষ বুঝে গিয়েছেন দলটা মুছে যাবে। তাই ভেবেছেন আগেভাগে আত্মসমর্পণ করি। সেই কারণেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েছেন ওঁর পরিবারের সদস্যরা।”

ঝাড়গ্রামের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ছবি তোলার সময় বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথীর বাবা, মা, বোন-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর সন্ধে ৬ টা নাগাদ ছবি তোলা হয় তাঁদের। তবে সুখময় শতপথী, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে যাননি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তুলতে যাননি।