“সিঙ্গুরে অনশনের সময় বিরিয়ানি খেয়েছিলেন”,মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

কিছুদিন আগে রাজ্য সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সময় তিনি বাঁকুড়ার এক আদিবাসী বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছিলেন। এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবার তার জবাব সুদে আসলে ফেরত দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, সিঙ্গুরে অনুসরণ চলাকালীন বিরিয়ানি খেয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দীর্ঘদিন ধরে একটা প্রশ্নের সমাধান কেউ করতে পারেনি। আদিবাসীদের প্রকৃত বন্ধু কে? অর্থাৎ কোন রাজনৈতিক দল। এই বিষয়ে আমার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে যার নাম “মধ্যাহ্নভোজন রাজনীতি”।

এই মাসের প্রথমদিকে রাজ্য সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। বাংলায় এসে এসে বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেছিলেন তিনি। এরপর প্রায় তিন সপ্তাহ কেটে গিয়েছে।

বাঁকুড়ার খাতড়ার সিধু কানহু স্টেডিয়ামে সরকার প্রকল্প প্রধানের কর্মসূচিতে যোগদান করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই কর্মসূচীর মধ্য থেকে মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন, ফাইভ স্টার হোটেল থেকে বাসমতি চাল আনিয়ে হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন অমিত শাহ।

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন,”কয়েকদিন আগে আমার মাননীয় হোম মিনিস্টার এসেছিলেন দেখানোর জন্য। বাইরে থেকে খাবার বানিয়ে (নিয়ে এসেছিলেন)। ওঁনাকে (বিভীষণ হাঁসদা) কিছু করতে দেননি। বাইরে থেকে ব্রাক্ষণ নিয়ে এলেন। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এলেন।”

তাঁর দাবি,ওই পরিবারকে শুধুমাত্র বলা হয়েছিল যে শাহ তাঁদের বাড়িতে এসে খাবেন। আর কিছু নয়। খাবার বাইরে থেকে আনা হবে। মমতা আরও বলেন,”আপনারা দেখবেন, তরকারি কাটছে। কিন্তু সেই তরকারি খাননি।

ধনেপাতা কোনও রান্নায় দেওয়া হয়নি। বাঁধাকপিও দেওয়া হয়নি, যা কাটছিল। খেয়েছে তো অন্য জিনিস। বাসমতী চাল, পোস্তার বড়া – এরকম নানারকম। কাগজে দেখেছি।”

যদিও সেই বিষয় নিয়ে আবার টানাপোড়েন শুরু হয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়ায় সরকারি প্রকল্পের কর্মসূচিতে যাওয়া নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন,”জঙ্গলমহল থেকে তৃণমূল পার্টিটা উঠে গিয়েছে। আছে কিনা দেখতে গিয়েছেন”।

অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজনের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষের জবাব দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,সিঙ্গুরে বিরিয়ানি খেয়ে অনশন করেছিলেন মমতা। তাই তিনি দলিত বাড়িতে ডাল-ভাতের মর্ম বুঝতে পারেন।