ক্ষমতার লোভেই মমতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বিমল গুরুং, কটাক্ষ দিলীপের

বিমল গুরুং আত্মসমর্পণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, শুধুই ক্ষমতার লোভে। এমনটাই দাবি করেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটে এমনটা দেখা গিয়েছে। কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন,ছত্রধর মাহাতোর স্টাইলে বিমল গুরুংকে রাজনীতিতে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

বুধবার আচমকাই কলকাতায় আসেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বহিষ্কৃত নেতা বিমল গুরুং। কলকাতার একটি ফাইভ স্টার হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করতেও দেখা গিয়েছে তাকে। সেখানেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে প্রশংসা করেন তিনি।

বুধবার রাতে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই রাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমল গুরুংয়ের সিদ্ধান্তকে টুইট করে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিমল গুরুং কে নিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা নানান ধরনের মন্তব্য করতে শুরু করেন। একই সঙ্গে তাল মিলিয়েছে বিজেপি নেতা কর্মীরা।

পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। ওই পোস্টে দিলীপ ঘোষ লেখেন,”বিমল গুরুং পাহাড় ছাড়া ছিলেন দীর্ঘদিন। পাহাড়ে ফিরতে চেয়েছিলেন, তাই আত্মসমর্পণ করলেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করলে সব কিছুতেই ছাড় মেলে। বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছত্রধর মাহাতো। এখন দেখার বিমল গুরুংদের বিরুদ্ধে মামলার কী হয়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করলে সব কিছুই ছাড়।”

জানা গিয়েছে যে, পাহাড়ের একজন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছিল। এ প্রসঙ্গে নাকি রাজ্যের একজন মন্ত্রী ও যুক্ত রয়েছেন।

পাহাড় ত্যাগ করার পর বিমল গুরুং তিন বছর আগে বাস করতেন নেপাল লাগোয়া এক গ্রামে। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ছেলের বিয়েতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেই নিয়েও বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। প্রশ্ন ওঠে,UAPA মামলায় অভিযুক্ত দেশের ক্ষমতাসীন দলের এত ঘনিষ্ঠতা কেনো? বুধবার সকালের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপিকে নিয়ে তোপ দাগলেন বিমল গুরুং।