জনপ্রিয় গানে টিভির সামনে বলিউড অভিনেত্রীদের থেকেও দুর্দান্ত নেচে তাক লাগাল যুবতী, ভিডিও ভাইরাল

বর্তমান যুগ পুরোপুরিভাবে বৈজ্ঞানিক যুগ। প্রায় প্রতিদিনই নিত্যনতুন আবিষ্কারে পৃথিবীর রয়েছে সক্রিয়। যুগের পর যুগ ধরে বিজ্ঞান ক্রমশ উন্নতি লাভ করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার যন্ত্রটি ছিল একটি বিশাল বড় ঘরের মতো বড়, কিন্তু এখন বিবর্তনের ফলে কম্পিউটার ছোট হাতের তালুর মধ্যে এসে গেছে।

শুধু তাই নয়, আগে মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে শুধুমাত্র চিঠি ছাড়া আর কোন বিকল্প ছিলনা। বর্তমানে স্মার্টফোনে দৌলতে তা এখন হয়ে গেছে সহজলভ্য। গ্রামাঞ্চলেও স্মার্টফোন আজকাল প্রায় প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে দেখা যায়। স্মার্টফোনের শুধু কথা বলা নয়, এর মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসও চলছে বর্তমানে। কাউকে দেখার ইচ্ছা হলে শুধুমাত্র একটি ভিডিও কলে স্মার্টফোন দেখিয়ে দেবে তাকে। সুতরাং এই ভাবেই বিজ্ঞানের গতিতে এগিয়ে চলেছে বিশ্ব।

বর্তমানে এই সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়েই বিভিন্ন মানুষ তাদের প্রতিভাকে তুলে ধরেছেন বিশ্বের সামনে। এমনকি বর্তমানে লকডাউন এর কারণে সবই বন্ধ সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ডান্স, যোগা, সংগীত একাডেমী এবং তাদের শিল্পীরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরেছেন সকলের সামনে।

এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে নানা রকম অ্যাপ, টিক টক, মোজ প্রভৃতি এপেন নানারকম স্পেশাল ইফেক্টের মাধ্যমেই দারুন ভিডিও তৈরি করে মানুষ তার প্রতিভাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আকর্ষণীয়ভাবে পরিবেশন করতে পারছেন। বর্তমানে খুদেরাও পিছিয়ে নেই প্রতিভা প্রদর্শনের দৌড়ে। সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, মার্শাল আর্টস সবদিক থেকেই তারা রয়েছে এগিয়ে।

তাদের এই প্রতিভা দেখে সত্যিই অবাক হতে হয় কিছুদিন আগেই ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, দুই ভাইবোন মার্শাল আর্টস করে কাঁপিয়ে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। ছোট ছোট বাচ্চাদের এই রকম ভিডিও দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেছিলেন সকলে। খুদে বাচ্চাদের প্রতিভাগুলি সত্যি আমাদের অবাক করে বারবার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক এক সময় এক এক রকম ট্রেন্ড এর উৎপত্তি হয়। কখনো কোন গান নিয়ে, কখনো নাচ নিয়ে, কখনো বা বিশেষ কোনো একটি ডায়লগ দিয়ে একটি ট্রেন্ড তৈরি হয় এবং সেটি সবাই ফলো করতে শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে এক একজন এক এক রকম ভাবে নিজের প্রতিভা প্রকাশ করেন, আমরা টিকটক, লাইকি প্রভৃতি অ্যাপ এ নানারকম ক্রিয়েটিভিটি দেখতে পাই।

সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি সুন্দরী মেয়ে ঘরের মধ্যে নাচ করছে। ঘরের মধ্যে টিভিতে চলছে পরমাসুন্দরী গানে কৃতি সাননের এর নাচ, এবং একদম কৃতি সানন এর মত পোশাকে সেজে হুবহু নকল করে কাঁপিয়ে দিয়েছেন মেয়েটি।

বর্তমানে বলিউডের “মিমি” সিনেমাটি হয়েছে খুব জনপ্রিয়, এই গানটি সেই সিনেমার একটি অংশ, গানটি গেয়েছেন এ আর রহমান ও শ্রেয়া ঘোষাল। কিন্তু মেয়েটির এই চিন্তাধারার সত্যি প্রশংসা করতে হয়। একদম টিভি নকল করে নিয়েছে সকলের মন জয় করেছেন তিনি, তার এই নতুন চিন্তাধারা সত্যি প্রশংসা করতে হয়।

দর্শক মুগ্ধ হয়ে গেছেন তার পারফরমেন্স দেখে। ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে “হৃদয়ের রং” নামে একটি অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়ে গেছে ভাইরাল। ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে তাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে।

হাজার হাজার মানুষ ভিডিওটি লাইক করেছেন। কমেন্ট বক্স ভরে গেছে অভিনন্দনে। বিশেষ করে মেয়েটি অত্যন্ত রূপসী, তার পারফরম্যান্স তার রূপ ও যৌবন এর সঙ্গে যেন একাত্ম হয়ে গেছে। দর্শক এরকম আরো পারফরম্যান্স দেখতে চেয়েছেন তার। সে যেন তার জীবনে এই ভাবে এগিয়ে যান এই আশাই করি আমরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবেই নানারকম ভিডিও হয় ভাইরাল। বর্তমানে একটা স্মার্টফোনের মাধ্যমে সব কিছু সম্ভব। হাতের মুঠোয় থাকা একটি ফোনের মাধ্যমে আজকাল সব কিছু আমরা করতে পারি। শিক্ষা ব্যবসা-বাণিজ্য খেলাধুলা সব কিছুই আমরা দেখতে পাই ফোনের মধ্যে। এই ভাবেই বিজ্ঞান এগিয়ে চলেছে বারবার। সোশ্যাল মিডিয়া এবং তার সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রতিটি মানুষকে জানাই সাধুবাদ।