“সিপিআইএম বিজেপির রক্ষক, আর কংগ্রেস হলো তক্ষক, দু গালে চুমু খায়!” মন্তব্য মমতার

তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বিরোধী দলের নেত্রী। সেই সময় তাঁর দাবি ছিল,কংগ্রেস হল সিপিএমের বি–টিম। সেই ভবিষ্যৎ বাণী যেন এবার মিলেই গেল, এমনটাই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এবং তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ।

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করতে জোট বেঁধেছে বাম কংগ্রেস। মেদিনীপুরের কলেজ মাঠের সভা থেকে একযোগে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপ্যে কড়া আ’ক্র’মণ শানালেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে বলতেন, বিজেপি সিপিএম আর কংগ্রেস হল “জগাই মাধাই আর গদাই”। দুদিকে দুই কলাগাছ সিপিএম আর কংগ্রেস। মাঝখানের মহারাজা হয়ে বসে আছে বিজেপি।

এদিন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”সিপিএম–বিজেপি–কংগ্রেস এখন তিন ভাই। একজন রক্ষা করছে। আর একজন ভক্ষণ করছে। আরও একজন তক্ষক। অর্থাৎ রক্ষক–ভক্ষক–তক্ষক। আমি বলি কঙ্কা–বঙ্কা–শঙ্কা। জনগণ আছে সঙ্গে, তাই একুশে তৃণমূল কংগ্রেস আসছে বঙ্গে।”

লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল যে, সিপিএমের পুরভোট বিজেপির ঝুলি তে গিয়ে পড়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার দিন মেদিনীপুরের সভায় আরো বলেন,”সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। বাংলায় জোট বেঁধেছে ওরা।

যৌথভাবে সরকার, দল, বাড়ি ভা’ঙছে। টাকা ছড়াচ্ছে। কুৎসা করছে। অপপ্রচার করছে। কিন্তু তোমরা ভুলে যাচ্ছ যে তোমাদের উৎখাত হওয়ার সময় হয়ে এসে গিয়েছে”। একসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রেল, এয়ার ইন্ডিয়া, কয়লা, ভেল, ব্যাঙ্ক সব বিক্রি করার চ’ক্রান্ত কষছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন,”কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সবার টাকার হিসাব চাইছে। নিজেরা পিএম কেয়ার্স ফান্ডের হিসেব দিক।

ক’রোনার নামে যে এত কোটি কোটি টাকা তুললেন, তার কী হল? সবাই দু’র্নী’তিপরায়ণ, আর ওরাই শুধু সাধু। তাহলে রাফাল দু’র্নী’তির কী হল? মিথ্যের ডাস্টবিন নিয়ে বসে আছে বিজেপি।” মমতা হুঁশিয়ারি দেন, ‘”বাংলাকে কিছুতেই গুজরাত বানাতে দেব না। ২০২১ আমাদের”।