সিপিআইএমের পার্টি অফিসে ভাড়াটের বসবাস, ভাড়া মাসে দুই হাজার টাকা, অস্বস্তিতে দল

“ছিল রুমাল, হয়ে গেল বেড়াল!” উদ্ধৃতিটি সুকুমার রায়ের “হ-য-ব-র-ল” থেকে নেওয়া হলেও এর বাস্তব উদাহরণ ডুয়ার্সের গয়েরকাটায় গেলেই দেখা যাবে। সিপিআইএমের পার্টি অফিস পরিণত হল ভাড়াটেদের বাসস্থানে।

মালদা থেকে আসা ৬ জন ফেরিওয়ালাকে সিপিআইএমের পার্টি অফিসের দেওয়া হয়েছে, তাও আবার মাসিক ২০০০ টাকার বিনিময়ে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বামপন্থীরা।

সিপিআইএমের একটি শাখা অফিস জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের গয়েরকাটা পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে। চা বাগানে ঘেরা ডুয়ার্সের ওই এলাকায় পূর্বে খুবই সিপিআইএমের রমরমা ছিল। শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজনে ভরে থাকতো শাখা অফিস গুলি।

ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোড়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছিল সিপিআইএম এর অধীনে। ২০১৪ সাল নাগাদ বেশকিছু সিপিআইএম কর্ম সমর্থক দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় সাকোয়াঝোড়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে যায়।

এ ঘটনার পর থেকেই শাখা অফিস গুলিতে সিপিআইএমের নেতাদের সেভাবে দেখা যেত না। মাঝেসাঝে দু’একজন আসত। শনিবারে হঠাত বেশ কিছু জন ফেরিওয়ালাকে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র নিয়ে পার্টি অফিসে আসতে দেখা যায়। এরপর খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় যে, তারা ওই পার্টি অফিসে ভাড়া থাকবেন।

মালদা থেকে আসা মহম্মদ রাকিবুল নামের এক ফেরিওয়ালা জানান, মাসিক ২ হাজার টাকার বিনিময়ে তারা এই পার্টি অফিস ভাড়া নিয়েছেন। বিক্রি করার জন্য জিনিসপত্র শেষ হয়ে গেলে ঘর ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য এই নিয়ে বলেন,”এই ধরনের কোনও খবর আমার জানা নেই। আমি আপনাদের কাছ থেকে প্রথম শুনলাম। পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়ার এক্তিয়ার আমাদের কারও নেই। আমি এক্ষুনি খোঁজ নিচ্ছি। যদি অভিযোগ সত্যি হয়ে থাকে, তবে পার্টির শৃঙ্খলা ভঙ্গ জনিত কারণে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তাই নেওয়া হবে।”