“নিজে নিরাপদে থেকে মানুষকে বিপদে ফেলছেন”, মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধন নিয়ে সরব সুজন

দেশ জুড়ে ক’রো’না পরিস্থিতি অব্যাহত। অন্যদিকে আবার দুর্গাপূজার মরশুম। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী বেশি জনসমাগমের মধ্যে না গিয়ে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সবটাই ভার্চুয়ালি।

উৎসবের আমেজে ক’রো’না সংক্রমণের কলে মুখ্যমন্ত্রীর এমন ধরনের পুজো উদ্বোধনের বিষয়টিকে সকল স্তরের মানুষ বেশ ভালো মনেই নিয়েছেন। তবে ব্যতিক্রমী বামফ্রন্ট।

পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি পুজো মণ্ডপ উদ্বোধনের বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেছেন,নিজেকে নিরাপদে রেখে মানুষকে বিপদে ফেলতেই মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন করছেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী বামফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার দলনেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন,”মুখ্যমন্ত্রী নিজে নিরাপদে থেকে পুজোর উদ্বোধন করছেন। আর যেখানে উদ্বোধন হচ্ছে সেখানে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। ফলে সং’ক্র’মণের সম্ভাবনা বাড়ছে।”

সুজনের দাবি, “পুজোর মঞ্চকে ব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক প্রচার করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আচরণ শারদোৎসবের কৌলিণ্য নষ্ট করছে।” সুজন চক্রবর্তী আরো বলেন,”গণেশ চতুর্থী হোক বা ইদ, বাংলার মানুষ ঘরে বসেই পালন করেছেন। তার পরেও সং’ক্রম’ণ এখনো বেড়েই চলেছে।

ওদিকে ওনম উজ্জাপনের ফল টের পাচ্ছে কেরল। তা থেকে কোনও শিক্ষা নেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।” পুজোর পরে ক’রো’না সংক্র’ম’নের প্রভাব বাড়তে থাকলে, তার দায়িত্ব হয় মুখ্যমন্ত্রীকে, দাবি সুজনের।

এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণ কে সমর্থন জানিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন,”আদালত সঠিক প্রশ্ন তুলেছে। মানুষের করের টাকা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না তা জানা দরকার। সরকার কোথা থেকে এই টাকা জোগাড় করল তারও হিসাব দিতে হবে আদালতে।”

প্রসঙ্গত,১৩ অক্টোবর থেকে একের পর এক দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বহু জায়গায় সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানা হয়নি। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধনকে কড়া ভাষায় আ’ক্র’মণ করলেন বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।